রোববার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাতকানিয়ায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ৩১ মে ২০২৫, ১১:১৭
সাতকানিয়ায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত -যায়যায়দিন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার শাখা খালগুলোর পানি উপচে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও ডলু নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। এ দুই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে শাখা খালগুলোর পানি উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

1

সরেজমিনে দেখা যায়, রামদা খালের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মাহালিয়া, চিতামুড়া ও ঘিলাতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকার লোকালয়ে ঢুকছে। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বাজালিয়া দক্ষিণ পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবার তিনদিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতের ভারী বর্ষণে ওই পাড়ার অনেকগুলো বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অপরদিকে সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

বাজালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মাহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. এমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের ভারী বর্ষণে রামদা খালের পানি উপচে কলঘর-পূর্ব মাহালিয়া সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এ এলাকায় মারাত্মক বন্যা দেখা দিতে পারে।

অপরদিকে সাঙ্গু নদীর বাজালিয়া অংশের চৌধুরী পাড়ার বাঁধটির কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক দফা বরাদ্দের পরও বাঁধটির কিছু অংশ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা। বিগত বছরগুলোতে এ বাঁধ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা দেয়। সাঙ্গু নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সাঙ্গু ও ডলু নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলে সাতকানিয়ায় বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও ডলু নদীতে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে ব্যস্ত লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নদীর তীরে ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনিস হায়দার খান বলেন, সাঙ্গু ও ডলু নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে শাখা খালগুলোর পানি উপচে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সাঙ্গু ও ডলু নদীর সাতকানিয়া অংশে অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে।

সম্প্রতি এ দুই নদীর অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা সংস্কার করা হয়েছে। তবে চলতি বছর তুলনামূলক বরাদ্দ কম হওয়ায় বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে