কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক, উন্নয়নের রাজনীতির প্রবক্তা, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী।
তিনি ছিলেন সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রকৃত রূপকার এবং স্বনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালের ৩০ মে শুধু জিয়াউর রহমানকে কেড়ে নেয়নি; এ দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জোয়ারও থামিয়ে দিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করেছেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের দায়িত্ব নিয়ে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস।
তিনি জনগণকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আন্তরিক ছিলেন বলেই জনগণ অন্তর দিয়ে তাকে ভালোবেসেছে। তার নির্দেশনা, অনুরোধ, পরামর্শ গ্রহণ করেছে এবং উপকৃত হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের কিংবা পরিবারের জন্য কিছুই রাখেননি।
তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আমরা হারিয়েছি এমন এক সময়ে, যখন দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রত্যাশী জনগণ তার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তি অর্জনের কর্মযজ্ঞে সক্রিয় এবং নিশ্চিত ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় উদ্দীপ্ত ছিল।
দেশ-বিদেশে যখন বাংলাদেশ মর্যাদা ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে শুরু করেছিল। ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
এমন একজন মহাপ্রাণ দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাতৃভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী, দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির সোপান রচনাকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী এবং বাসযোগ্য ও মর্যাদাবান একটি রাষ্ট্র গঠনে তিনি ছিলেন জনগণের নির্ভরযোগ্য ও প্রত্যাশার বাতিঘর।
খুলনার রূপসা উপজেলা ও নৈহাটি ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ৩১মে রাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম,।
আরও বক্তৃতা দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান রুনু, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ আব্দুর রশিদ, আ: সালাম মল্লিক, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাবেদ হোসেন মল্লিক, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাঈদ।
নৈহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মিন্টু ও সদস্য সচিব মো. দিদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন রূপসা বাগেরহাট বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোল্লা আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন শেখ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বিকাশ মিত্র।
আরও বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম, মো. মুশফিকুর রহমান লিটন, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ সিকদার, আমিনুল ইসলাম তারেক, মো. সাজ্জাদ সরদার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বয়ক মুন্না সরদার, ইউনুস গাজী, কবীর শেখ, মনিরা বেগম প্রমুখ।