গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো একজন নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ফারজানা আক্তার। এ ঘটনাকে উপজেলাবাসী ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং নারীর অগ্রগতির একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন।
রোববার (১ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সদ্য বিদায়ী ইউএনও মো. মঈনুল হকের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন ফারজানা আক্তার। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ফারজানা আক্তার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩৬তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সর্বশেষ তিনি টাঙ্গাইল জেলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল ও রাজবাড়ী জেলায় প্রশাসনিক শিক্ষানবিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এরপর তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় এবং ঢাকার ধামরাই উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসব দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা তাকে মাঠ প্রশাসনের বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করেছে।
ফারজানা আক্তার চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন কন্যা সন্তানের জননী। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি একজন সচেতন অভিভাবক এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনেও সক্রিয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বের বিষয়। এ উপজেলায় একজন নারী ইউএনও হিসেবে ফারজানা আক্তারের যোগদান শুধু প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নয়, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণ ফারজানা আক্তারের এ যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তার দক্ষ নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং জনসেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
নারীর অংশগ্রহণে প্রশাসনে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটাবে ফারজানা আক্তারের এ যোগদান—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি টুঙ্গিপাড়ার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।