সারাদেশ

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল ফেরিঘাট থেকে গুয়ারেখার চাঁদকাঠি পর্যন্ত রাস্তাটির মাঝে এগারো গ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতু টি এখন এক নির্মম দুর্ভোগের নাম।

বিশেষ করে গুয়ারেখা ইউনিয়নের এগারো গ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৭০ নং পাটিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এই সেতু টি দীর্ঘ ১ বছর মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাস্তার শুরুতে আলকিরহাট পর্যন্ত কিছুটা ভালো থাকলেও সারেংকাঠি, গুয়ারেখা অংশে এসে রাস্তার বেহাল দশা চোখে পড়ে। আর এই পথেই প্রতিদিন নেছারাবাদ উপজেলা থেকে শুরু করে সোহাগদল, সারেংকাঠি, গুয়ারেখা, ও দৈহারী ইউনিয়ন থেকে পিরোজপুর জেলা শহর পর্যন্ত অসংখ্য যানবাহনে হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু না থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় দুটির প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী।

গত ২৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান EFTE. ETCL LTD সেতুটির পুরাতন কাঠামো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর প্রতিষ্ঠানটি অজানা কারণে কাজ বন্ধ রেখে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তখন থেকেই সেতুটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে, যার ফলে ঝুঁকি নিয়ে বাইপাস রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে জনসাধারণ, ছাত্র ছাত্রী ও যানবাহন।

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতে হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের। সকাল-সন্ধ্যা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে এই সেতুর স্থানে তৈরি অস্থায়ী বাইপাস রাস্তা দিয়ে। বর্ষার সময় দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদাঃ) মো. রাইসুল ইসলাম জানান, সেতুটির কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

জনগণের দাবি, দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হোক, যেন শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন যাতায়াতকারী হাজারো মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটে। সেতুটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি এলাকাবাসীর ন্যায্য প্রাপ্য এবং নিরাপদ জীবনের আশার প্রতীক।