নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়ালবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের নিখোঁজ নুরুল আমিন ওরফে নুরুর (৪২) লাশ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আজ (২ জুন) সকাল থেকে আমতলা গ্রামের চান্দেরকুড়ি বিলে দিনব্যাপী তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ, জেলা ডিবি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অভিযানে তাদের সঙ্গে ছিলেন মামলার প্রধান আসামি রবিকুল ইসলাম (৪০)।
রবিকুল গত সপ্তাহে নেত্রকোনা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শফিউল আলম ওই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রবিকুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক তথ্য দিলে পুলিশ সন্দেহভাজন স্থানে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সকাল থেকেই গোটা চান্দেরকুড়ি বিল ঘিরে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশের পাশাপাশি ডুবুরি দল নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মরদেহের সন্ধান মেলেনি।
গত ১৭ মার্চ রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ নুরুকে ডেকে নেয় মামলার প্রধান আসামী রবিকুল ইসলাম। এরপর থেকে অদ্যাবধি নিখোঁজ তিনি। নুরু'র স্ত্রী ডেইজি আক্তার প্রথমে জিডি পরে গত ২১ মার্চ কেন্দুয়া থানায় একটি অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
মামলার এজাহারে প্রতিবেশী রবিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এরইমধ্যে মামলার কয়েকজন আসামী জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এ ঘটনায় আমতলা গ্রামজুড়ে চলছে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। নিখোঁজ নুরুর স্বজনরা দ্রুত তার সন্ধান ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।