সারাদেশ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে কোকা (খুইচ্ছা ধরার যন্ত্র) চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কিলিশ সরকার (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং নিহতের ভাই দরশন সরকার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি খড়িয়া গ্রামের সবুজ মিয়ার দোকান থেকে কয়েকটি কোকা চুরি হয়। এই ঘটনায় কিলিশ সরকারের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে -এমন সন্দেহে রোববার (১ জুন) দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষের কয়েকজন লোক কিলিশকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে একই গ্রামের মতি লালের বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে নবীগঞ্জ থানায় আনা হয় এবং সেখান থেকে রাত সাড়ে ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কিলিশকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সোমবার (২ জুন) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরপরই নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে খড়িয়া গ্রামের মৃত এনামুল হকের ছেলে সাদিকুর রহমান, মৃত গুরুচরণ সরকারের ছেলে নিবারন সরকার এবং জামিনী সরকারের ছেলে সুনীল সরকারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা আমরা নিশ্চিত করেছি। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

‘জয়বাংলা বলেই গুলি ছুড়তে শুরু করল’

নিহতের পরিবারের দাবি, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।