খুলনার পাইকগাছায় পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদনও বেশী হওয়ায় দাম কম থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহার পাইকগাছায় কুরবানীর চাহিদা রয়েছে ৪৩৮০। সেখানে কোরবানি যোগ্য মহিষ গরু ছাগল ভেড়া মিলে ৬ হাজার ৪শত ২৯টি। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনও বেশী হওয়ায় পশুর দাম কম থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।
সরেজমিনে হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রচুর গরু এনেছেন। কেউ কেউ খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জারি করা এক পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন হাটবাজারে চারটি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলার হাট গুলো হলো, চাঁদখালী, গদাইপুর, কাশিমনগর। তবে ঐতিহ্যবাহী কাশিমনগর হাটে ছাগল আর ভেড়া ছাড়া অন্য পশুর দেখা মেলে না। শতাব্দী অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এনাম জানান, তিনি খামারে ২০টি গরু লালন করেছেন এবং খামার থেকেই বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
কয়েকজন পশু পালনকারীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, সোমবার থেকে পশু বিক্রি বেচাকেনা বেড়েছে। তবে দাম কম থাকায় চিন্তায় আছি। গো খাদ্যের অতিরিক্ত দামের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া দুস্কর।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পার্থ প্রতিম রায় জানান, প্রতিটি হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভেটেরিনারি চিকিৎসকগণ গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসনদ ছাড়া কোনো পশু কেনাবেচা না করতে হাট ইজারাদারদের সচেতন হতে হবে।