বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আখাউড়ায় লবন মাখিয়ে চামড়া প্রস্তুত করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  ১১ জুন ২০২৫, ১৩:২২
আখাউড়ায় লবন মাখিয়ে চামড়া প্রস্তুত করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা
আখাউড়ায় কাঁচা চামড়া বিছিয়ে লবন মাখাচ্ছেন। । ছবি: যায়যায়দিন

বড় বড় স্তূপ করে রাখা কাঁচা চামড়া। শ্রমিকরা চামড়া বিছিয়ে লবন মাখাচ্ছেন। কাছেই দাঁড়িয়ে শ্রমিকদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পরিশ্রমে অনেকটায় ক্লান্ত শ্রমিকরা।

প্রখর রৌদ্রের তাপে ঘেমে একাকার হয়ে গেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজারের কোরবানীর পশুর চামড়ার আড়তের।

1

কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৭/৮ জন মৌসুমী ব্যবসায়ী প্রায় ৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছেন। বিভিন্ন মাদ্রাসার থেকে এসব চামড়া সংগ্রহ করেছেন তারা।

চামড়াগুলো লবন মাখিয়ে রেখে দিচ্ছেন। পরে ট্যানারির মালিকদের কাছে বিক্রি করবেন। ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকায় গরুর চামড়ার দাম পড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এর সাথে পরিবহন, লবন খরচ, শ্রমিক খরচসহ আরও কিছু খরচ রয়েছে। এরপর লাভের আশা।

বুধবার সকালে সরজমিনে পৌরশহরের বড় বাজারের নৌকা ঘাটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা চামড়া লবন মাখিয়ে প্রস্তুত করছেন শ্রমিকরা। বড় বড় স্তূপ করে রাখা চামড়া।

বড় বাজারের ব্যবসায়ী সেন্টু মোল্লা বলেন, সরকারের দেওয়া চামড়ার দর দেখে আমরা চামড়া কেনায় উৎসাহী হয়েছি। ৭ জন ব্যবসায়ীর ৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছি।

চামড়া প্রস্তুত করে রাখছি। এখন পর্যন্ত পাইকারী ক্রেতা পাইনি। ক্রেতার আশায় আছি। সরকারি দরে বিক্রি করতে পারলে আশা করি লাভবান হবো।

এদিকে, চামড়ার বিক্রি নিয়ে কিছুটা টেনশনে রয়েছে কয়েকজন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী। সঠিক দাম পাবেন কিনা এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।

এ ব্যপারে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী মান্না মালদার বলেন, আমি তিনবছর ধরে কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। গত বছর লাভ হয়নি। এবছর প্রায় ১ হাজার চামড়া কিনেছি। এখনও বিক্রি করতে পারিনি। আশা করি এবছর লাভ হবে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদেরকে বলেছি ভালো করে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য। তাহলে চামড়ার ভালো দাম পাবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে