ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি'র অর্থায়নে, দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকার তত্বাবধানে ও 'মানবিক বানিয়াচং' (সেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর উদ্যোগে গ্রামীণ জনপদের "মানুষ মানুষের জন্য" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির, ছানি বাছাই ও অপারেশন ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২জুন) সকাল ৯টায় 'মানবিক বানিয়াচং' (সেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন বকুলের সভাপতিত্বে উপজেলা সদরের বানিয়াচং মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
'মানবিক বানিয়াচং' (সেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর সদস্য ফজলে এলাহি জাদু ও আল আজাদ হোসেন জাবেদ এর যৌথ সঞ্চালনায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে এই চক্ষু শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান বিভাগীয় কমিশনার (ঢাকা) শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রসাশক ডা. ফরিদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শাহিন রেজা চৌধুরী, এডিসি মঈনুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল রহমান, অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মস্তোফা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, চল্লিশোর্ধ্ব যেকোন ব্যক্তির চোখে ছানি পড়ার কারণে অন্ধত্ববরন করে চোখে দেখতে পাননি। ছোট্ট একটি উদ্যোগ নিলেই দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমাদের এ চক্ষু শিবিরের আয়োজন।
অনেক সময় দেখা যায় অর্থের অভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা নিতে পারেনি। তাই বিনামূল্যে এ চক্ষু শিবির, ছানি বাছাই ও অপারেশন ক্যাম্পিং। প্রত্যাশা করছি এ চক্ষু শিবিরের উদ্যোগে অনেকেরই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে। তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হবে। চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। যে কোনো ব্যাক্তি একবার অন্ধত্ববরন করলে তা আর ফিরিয়ে আনা যায়না।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার (ডাস) ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহিন রেজা চৌধুরী।
এ ছাড়া বাছাইকৃত রোগীদের বিনামূল্যে আসা যাওয়া, থাকা খাওয়া, লেন্সসহ ছানি অপারেশন, ঔষধ ও চশমা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পিংয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিনামূল্যে চক্ষু শিবির, ছানি বাছাই ও অপারেশন ক্যাম্পিং কার্যক্রমে উপজেলার প্রায় ১ হাজার নারী-পুরুষের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন ১৫ জন চিকিৎসক।
এসময় অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। বিনামূল্যে চক্ষু সেবা পেয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।