সারাদেশ

ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে যারা শত বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন, ঈদের আনন্দ শেষ হতে না হতেই কর্মস্থলে ফিরতে একই রকমের বিড়ম্বনার মুখে পড়ছেন তারা।

গণপরিবহন সংকট আর ট্রেনের টিকিট পাওয়া সোনার হরিণ সংগ্রহ করার সামিল। তাই ট্রেনের ছাদ ও ট্রাকে করে ফিরছেন কর্মস্থলে।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধায় ও শনিবার (১৪ জুন) সকালে রেলওয়ে স্টেশনে ও দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের এমন বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যায়। বাস ও রেলের টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে অনেকে ট্রেনে দাঁড়িয়ে, লোকালবাস ও ট্রাকে উঠে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে দেখা যায়।।

ট্রেনযাত্রীরা বলছেন, ট্রেনের ভিতরে সিটের থেকেও বেশি মানুষ দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছে। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় নানা বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে তারা কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনান্দ কুমার জানান, ফুলবাড়ী হয়ে এই রুটে প্রতিদিন ১১ জোড়া আন্ত:নগর ট্রেন যাতায়াত করে। এর মধ্যে খুলনা টু চিলাহাটিগামী ২ জোড়া, চিলাহাটি টু রাজশাহীগামী ৩ জোড়া, চিলাহাটি টু ঢাকাগামী এক জোড়া, পঞ্চগড় টু ঢাকাগামী ৩ জোড়া, কুড়িগ্রাম টু ঢাকাগামী এক জোড়া। এর মধ্যে ফুলবাড়ীতে পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে বিরতি নেই।

স্টেশন মাস্টার বলেন, ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনটি কয়েকটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল, এছাড়া ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকটে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মধ্যপাড়া পাথর খনি এবং উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরি হওয়ায় এ স্টেশনে সারা বছরে ট্রেনযাত্রীদের ভিড় থাকে, এর মধ্য ঈদ উৎসবগুলোতে ট্রেন যাত্রীর ভিড় আরও দ্বিগুণ থেকে তিনগুনে পৌঁছায়। ফলে টিকিট সংকট দেখা যায়।

এদিকে দুরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে গণপরিবহনের সংকট। টিকিট কাউন্টার গুলো বছলে প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ট যাত্রী বহনের জন্য অতিরিক্ত বাস নামানো হয়, কিন্তু বাসমালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করায় তারা অতিরিক্ত বাস ভাড়া করেনি, এজন্য অন্যান্য ঈদের তুলুনায় এবার গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ফিরতি পথে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঈদ করতে আসা মানুষ।