মাদারীপুরের রাজৈরে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের তালুকদার ডিজিটাল প্লাজার পার্টি সেন্টারে নবজীবন ব্লাড কালেকশন গ্রুপের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ চিকিৎসা চাই মাদারীপুর জেলার সভাপতি এ্যাড. মশিউর রহমান পারভেজ, তারুণ্য পরিবাররের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান, বন্ধন পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর রহমান সম্রাট, স্বপ্ন চুড়া তরুণ সংঘ বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জহিরুল ইসলাম সানি, অদম্য মাদারীপুর এর সভাপতি রাসেল শিকদার,
মাতৃভূমির চেতনা মাদারীপুর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব ইসলাম সিফাত, পাঠকবন্ধু মাদারীপুর সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, আরটি এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সাংবাদিক ইমাম হোসেন ইমন, শিক্ষক আরিফুর রহমান টিপু বেগ। এছাড়াও মানবিক রক্ত ব্যাংক,পাশে আছি মাদারীপুর,
টেকেরহাট ব্লাড ডোনার ক্লাব, রেড ক্রিসেন্ট, বন্ধু মহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি মাদারীপুর ও নবজীবন ব্লাড কালেকশন গ্রুপের সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে। যারা বিভিন্ন আন্দোলন করে বিভিন্ন কিছু দাবি করে এবং চায়। কিন্তু যারা রক্ত নিয়ে কাজ করে তারা সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে অগ্রগণ্য।
আগে প্রায় সময়ই টেলিভিশন ও পত্রিকার নিউজে দেখা যেত, রক্তের জন্য মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন এই তরুণ-যুবক সমাজের জন্য এসব ঘটনা আর ঘটে না।
কারণ তারা বুঝতে পেরেছে মানবতা কি জিনিস। রাজৈর উপজেলার মধ্যে ব্লাড কালেকশন গ্রুপ মানবতার কল্যাণে সবার থেকে এগিয়ে আছে।
তারা আরও বলেন, আধুনিকতার ছোয়ায় ডিজিটাল যুগে যেখানে বাচ্চা, শিশু, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী সকলেই মোবাইলে আসক্ত। সেখানে একটা দল কিন্তু মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
প্রতিমুহূর্তে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাচাতে সহযোগিতা করছে। একটা সময় ব্লাড ব্যাংক ছাড়া কোন রক্ত পাওয়া যেত না। তাও আবার ফ্রিজিং করে ২৮ দিনের মতো রাখা যেত। পরে রক্তগুলো নষ্ট হয়ে যেত।
কিন্তু এখনতো একেকজন স্বেচ্ছাসেবীই একেকটি ব্লাড ব্যাংক। খবর পেলেই মুহূর্তের মধ্যেই জোগাড় করে ফেলছে রক্ত।
এসময় সুবিধা ভোগী ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনারা রক্তদাতাদের সম্মান করুন। যারা নিজের খেয়ে, নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করছেন এবং এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও লাভ হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন রক্ত দিলে মনে হয় রক্তদাতারা সরকারি সহযোগিতা পায়।
এসব ধারণা করে রক্তদাতাদের অবহেলা করবেন না। রক্তদানের পর তাদের খোঁজ খবর রাখা উচিত।
কারণ তারা কোন আয়ের জন্য এগুলো করে না, মানবতার সেবার জন্য স্বইচ্ছায় রক্তদান করে থাকেন। সকলে রক্ত দিন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহিত করুন।