কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্তে সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য চা এর দোকান। এসব দোকান শুরুতে সাধারণ চা বিক্রির জন্য স্থাপন করা হলেও সময়ের সঙ্গে বদলেছে তার চিত্র। দিন দিন পরিণত হয়েছে তরুণদের আড্ডাখানায়।
শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই শত শত মোটরসাইকেল আরোহী এসে ভিড় করছেন এসব দোকানে। সন্ধ্যা নামতেই জমে ওঠে আড্ডা, আর সেই চা আড্ডার আড়ালে মিলছে মাদক।
শনিবার বিকেলে (২১ জুন) ওই এলাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের পাশে ফকিরবাজার, দক্ষিণগ্রাম, শংকুচাইল, শশীদল রেলস্টেশনের পাশের চা-দোকানগুলোতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই শত শত মোটরসাইকেল আরোহী তরুণরা এসে ভিড় করছে। চায়ের স্বাদ নিতে এসে জমে উঠে আড্ডা।এসব আড্ডা চলে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তিরা দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি'কে জানায়, এসব চা-দোকানে আসা মোটরসাইকেল আরোহীদের নেই লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। চা আড্ডার আড়ালে তরুণদের হাতের নাগালে মিলছে মাদক। এসব চা দোকানের আড়ালে মাদক সেবন ও কেনাবেচা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
বিশেষ করে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহজেই মিলছে এসব আড্ডায়। এর ফলে যুবসমাজ দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্থানীয়রা আরোও জানসয় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্তে গড়ে ওঠা এসব চা দোকান যেন যুবসমাজ ধ্বংসের ফাঁদে পরিণত না হয়, সে জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিয়মিত টহল ও অভিযান প্রয়োজন।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক এর নিকট এবিষয়ে জানায়, আমি নিজেও দেখেছি এসব চা-দোকান ঘিরে মোটরসাইকেল আরোহীদের ভিড়। অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নিবাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা চলছে। শিঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ তানভীর হোসেন জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকার দোকান ও আড্ডাখানাগুলো নিয়মিত নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। সন্দেহজনক দোকানগুলোর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ চলছে। অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।