গাজীপুর সদর উপজেলাধীন নয়নপুরে অবস্থিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি—কাঁচা একাডেমি এবং নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শনিবার উদযাপন করা হয় ফল উৎসব—১৪৩২।
‘নিয়মিত খেলে ফল, দেহ মনে বাড়বে বল’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নানান প্রজাতির দেশি ফলের সাথে পরিচয় ও ফলের বিভিন্ন উপকারিতা শিক্ষার্থীদের জানানোর উদ্দেশ্যে ষষ্ঠবারের মতো উদযাপিত হলো এই ফল উৎসব।
অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক মাকসুদা খাতুন লিপি বলেন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই প্রশান্তি ও সুখের পরশ নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ।
এ সময় বাহারি রং—বেরঙের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়। দেশি নানান প্রজাতির ফলে সুশোভিত হয় চারিদিক। সব ফলের মধ্যেই পানির পরিমাণ বেশি থাকে।
সেই কারণে গরমের সময় শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে ফল দারুণভাবে সহায়তা করে। ফলের মধ্যে প্রচুর খাদ্যশক্তি থাকে, যা শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর চর্বি বের করে দেয়, তাই ফল সবার জন্য ভীষণ উপকারী। পুষ্টি ও খাদ্যমানের দিক থেকেও সব ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং খনিজ পদার্থ থাকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি’র সদস্য সচিব ও প্রধান নির্বাহী জনাব হায়দার সিদ্দিকী উদয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ও শিক্ষকবৃন্দ।
ফল উৎসবে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা,কলা,জামরুল,ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তেঁতুল, লটকন, আনারস, পেঁপে, আঁখ, তাল, বেল,লেবু,খেজুর, বাঙ্গি, জাম্বুরা, অরবরই, আঙুর, ডাব, ডালিম,কামরাঙা,সফেদা,কমলা, মালটা, আপেল, দাতই, বিলম্ব, আঁতা, চালতা, গাব, চেরি, কাঠ বাদাম, ফেলা ফল, চাম্বল কাঁঠাল, কদবেল, আমড়া, আমলকি, জলপাই, হরতকি, তরমুজ, বরই ও ড্রাগন ফলসহ ৭০ রকমের ফল প্রদর্শনীর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ফল কেটে খাওয়ানো হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হায়দার সিদ্দিকী উদয় বলেন, শিক্ষার্থীদের দেশিয় ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ দেশিয় ফলে রয়েছে ভীষণ উপকারী পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।সেই সাথে দেশিয় ফলের সাথে পরিচিতি ঘটানো এই উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বাড়িতে প্রতিদিন একাধিক ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ফল উৎসবে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী চৈতন্য সরকার চয়ন বলে, ‘এবারের ফল উৎসব আমি অনেক উপভোগ করেছি।একসাথে এত ফল কখনো দেখা বা খাওয়া হয়নি। তাই একসঙ্গে এত ফল দেখে ভীষণ খুশি আমি।’পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
আহনাফ হোসেন কাব্য বলে, ‘আমাদের স্কুলের ফল উৎসব প্রতি বছরই ভালো হয়।আমি এবার অনেক ফল খেয়েছি এবং অনেক ফলের নাম জেনেছি, চিনেছি।আমাদের ক্লাসে এবার ৩৫ রকমের ফল নিয়ে আসা হয়েছে।’
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাওদা হক রোজা বলে, ‘ফল খেতে আমি খুব ভালোবাসি। একসঙ্গে অনেক ফল দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমার এই ফল উৎসব খুব প্রিয়।’
উল্লেখ্য, ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি প্রতিবছর মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করে আসছে।