বাবার মোটর সাইকেলে চড়ে কলেজে আসছিলেন। পথে মোটর সাইকেলের পিছনের চাকায় বোরকা পেচিয়ে গুরুতর আহত হন মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। রোববার দুপুরে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে।
নিহত কলেজ ছাত্রী ইশরাত জাহান শান্তা হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের মানবিক একাদশ শ্রেনির ছাত্রী। সে জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. আরিফের মেয়ে।
গলায় ঝুলানো থাকা বোরকার অংশটি টান পড়লে শান্তা মাটিতে ছিটকে পড়ে। এ সময় চলন্ত মোটর সাইকেলের গতি থাকায় তাকে অনেক দূর পর্যন্ত গলায় ফাঁসের মত চেচিয়ে নিয়ে যায়। পরে পথচারিরা আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শান্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরীভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।
হাসপাতালের উপসহকারি মেডিকেল অফিসার মো. শামীম জানান, শান্তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। এছাড়া তার ওড়না পেচিয়ে যাওয়ায় গলাতে শ^াসরোধ হওয়ার মত চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে আনার পরপরই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হয়।
শান্তার চাচা মো. আশ্রাফ জানান, আশঙ্কাজনক ভাবে তাকে ঢাকা নেওয়ার জন্য নদীর ওপারে পৌঁছলে শান্তার মৃত্যু হয়। পরে শান্তার মৃতদেহ তারা বাড়ীতে নিয়ে আসেন। এদিকে শান্তার মৃত্যুতে তার বাবা অনেকটা হতবিহ¦ল। তিনি সবার সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।