কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বর্পনোলা খাল, মিতল্লা খাল, বোয়ালজুড়ি, কানাইল নদী ও কাকড়ি নদীর বাজার সংলগ্ন অংশে বিভিন্ন ভাঙ্গারি দোকানের ময়লার স্তুপে নদীর পানি প্রবাহের গতিপথ ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে আসছে দীর্ঘবছর ধরে।
গত ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় স্বর্পনোলা খালের চৌদ্দগ্রাম বাজার সংলগ্ন অংশে ভাঙ্গারি দোকানের ময়লার স্তুপের কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে চৌদ্দগ্রাম বাজারের অন্তত শতাধিক দোকান, উপজেলা ও পৌর ভূমি অফিস, সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
ভাঙ্গারি দোকানের ময়লার স্তুপ পরিস্কারে চলতি বছরের গত মে মাসে স্বর্পনোলা ও মিতল্লা খাল পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামাল হোসেন। অভিযানে অধিকাংশ স্থানে ভাঙ্গারি দোকানের ময়লা এবং ফ্রিজ দোকানের ময়লার স্তুপ দেখে অভিযান চলাকালীন সময়ে এসব দোকানকে ডেকে সতর্ক করেন তিনি।
পরবর্তীতে গত (২২জুন) পৌরসভা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলতে ভাঙারি দোকান ও ফলের আড়ৎদারকে সতর্ক করা হয়।
পরে মহাসড়কের উপর ফুটপাথে, চৌদ্দগ্রাম বাজারের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মালামাল জব্দ করা হয়। আছু শাহ ফকির রোডের মাথায় এক দোকানিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সড়কের তৃপ্তি হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্ততের অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত একমাস বিভিন্ন খাল ডোবা নালা পরিষ্কার করা হয়। এরপর খাল ডোবা নালার আশপাশের প্রতিষ্ঠান গুলোকে সতর্ক করা হয় ময়লা আবর্জনা না ফেলতে।
নির্দেশ অমান্য করে খালে ময়লা ফেলার অপরাধে দুইটি ভাঙারি দোকান সিলগালা ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এবং ফুটপাথ দখল করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় একজনকে ১ হাজার এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্ততের অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে একটি হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।