সারাদেশ

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নামে ফেলে রাখায় জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপাশা কেন্দ্রীয় গোরস্থান ও আল-মারকাজুলে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল।

সম্প্রতি লোহাগড়া পৌরসভা উক্ত সড়কের দরপত্র ( টেন্ডার) আহবান করে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইডেন এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে।

কিন্তুু, সড়ক নির্মাণকাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইডেন এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক হিসেবে পরিচিত মো. রেজাউল করিম (জার্মান আলম) এর অধীনে পরিচালিত কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপাশা, রাজুপুর, সিংগাসহ আন-নুর মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই এই সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে লক্ষ্মীপাশা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বজন ও পথচারীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই কাদা পানি জমে যায়, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমি নিজেও একদিন এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলাম।’

আন-নুর কমপ্লেক্স মারকাজুলের একজন শিক্ষক জানান, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে, বিভিন্ন সময় নির্মাণসামগ্রী বহন করতে গাড়ি নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে আমাদের প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরও যাতায়াতে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে।’

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া, রাস্তায় পর্যাপ্ত মাটি ও খোয়ার পরিবর্তে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং খোঁড়া রাস্তা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় ফেলে রাখা- এসবই জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগড়া পৌরসভার প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) রতন রায় বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে তলব করেছি। তারা জানিয়েছে, জুন মাস ক্লোজিংয়ের কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা হবে।’