কুমিল্লার তিতাসে নির্মাণাধীন ভবন থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক নির্মাণশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার দ্বীন ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি মো. মোস্তফা মিয়া (৪৬) পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার বাড়ি রংপুর জেলার মাহিগঞ্জের ছোট কল্যাণী গ্রামের মৃত বাহারাম আলীর ছেলে। তার সাথে থাকা অপর দুই শ্রমিক ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী দ্বীন ইসলামের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ করতে গত এক বছর আগে চুক্তিবদ্ধ হয় মোস্তফা মিয়া। তিন মাস পর্যন্ত ঐ বাড়ির কাজ করার পর বাড়ির মালিক তা বন্ধ রাখেন। তখন মোস্তফা বাড়ির মালিক দ্বীন ইসলামকে অনুরোধ করে ঔ ভবনের দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষে থাকতে চান।
যেহেতু বাড়িটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, সেহেতু মালিক তাকে থাকতে দেন। এখান থেকে গত ৭ মাস যাবৎ মোস্তফা বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। তার সাথে পরবর্তীতে আরো দুই নির্মাণশ্রমিক যোগ দেন। উক্ত তিনজনে নির্মাণাধীন ভবনে বসবাস করে আসছিল। স্থানীয় লোকজন রোববার সকালে ঔ কক্ষে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। তবে অপর দুইজন পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ওই দুই শ্রমিক মোস্তফাকে হত্যা করে পালিয়েছে। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ভাটিপাড়া গ্রামের নির্মাণাধীন ভবনের মালিক দ্বীন ইসলাম জানান, মানবিক কারণে তাকে আমি থাকতে দিয়েছিলাম। এই খবর পেয়ে আজকে সকালে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। পরবর্তীতে তার সাথে কারা থাকতো আমি বলতে পারবো না।
তিতাস থানার ওসি মো. শহিদ উল্যাহ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি কম্বল দিয়ে মুড়ানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ দুই শ্রমিক মোস্তফাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। নিহতের স্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে।
তারা রংপুর থেকে আসতেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।