সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

মণিরামপুর কোচবিলের ঘের উচ্ছেদের দাবী নিয়ে ইউএনও অফিস চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  ২৯ জুন ২০২৫, ২১:০৮
মণিরামপুর কোচবিলের ঘের উচ্ছেদের দাবী নিয়ে ইউএনও অফিস চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ   
ছবি : যায়যায়দিন

মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর কোচবিলের ঘের উচ্ছেদের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে কৃষক মহলে। ফসলহানীসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে নতুন ঘের কাটাবন্ধসহ পূর্বের ঘেরগুলো উচ্ছেদের দাবী নিয়ে জেলা উপজেলা প্রশাসনের লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।

তবে, তাতে কোন সমাধান না হওয়ায় রোববার মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ঘের মালিক এবং সাধারণ কৃষকদের সমজোতা করার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও নিশাত তামান্না।

চাষীদের অভিযোগ, এলাকার কতিপয় ব্যক্তি ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের কোচবিলে অনন্ত: ১৫টি মৎস্য ঘের নির্মান করেছেন। এতে এলাকার অনেক কৃষকের চাষযোগ্য জমি অনাবাধি হয়ে পড়ার শংঙ্খা রয়েছে। কৃষকের দাবী, ঘেরের পাড়ের কারণে বিলের পানি নিস্কাশনের সুুযোগ থাকছে না। ফলে প্রান্তিক চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

এ নিয়ে চাষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনের নিকট তিন দফায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। কৃষকদের অভিযোগ, প্রথম দিকে লিখিত অভিযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসন আগের অবস্থান থেকে ফিরে রহস্যজনক কারণে ঘের মালিক ও আন্দোলনকারী চাষীদের সাথে সমজতা করবেন বলে সুর তুলেছেন।

এরই প্রেক্ষিতে রোববার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ইউএনও অফিসের সামনে তাদের দাবী নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

ঢাকুরিয়া, ভোজগাতী ও হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কৃষি জমি পানি নিস্কাশন, মাটি খনন রক্ষা কমিটির সভাপতি মনির পাটোয়ারী জনান, তিনমাস আগে ইউএনও দুটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। কমিটির রিপোর্ট কৃষকের পক্ষে গেলেও সে বিষয়টি আমলে নেননি তিনি।

স্থানীয় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, আমাদের প্রানের দাবী কোচবিল থেকে অবৈধ ঘের গুলো উচ্ছেদ করে সাধারণ কৃষকদের বাচাতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না সাংবাদিকদের জানান, আজ সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আনা হবে। পরে কোচবিল এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চাষী ও ঘের মালিকদের সাথে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে