অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, মো. মনিরুল ইসলাম জেলা শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন কাজ উৎকোচের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন এবং শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করে থাকেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার রণবিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হুমায়ুন কবির এবং কেএম বাদোখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিফতা উদ্দিন গত ৩০ জুন জেলা শিক্ষা অফিসে আসেন।
এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো. মনিরুল ইসলাম তাদের সঙ্গেও একই আচরণ করেন। এর আগেও এ ধরণের আচরণের কারণে জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে একাধিকবার অবহিত ও সতর্ক করেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তার এ ধরণের আচরণে শিক্ষকরা অসম্মানিত ও বিব্রত বোধ করে থাকেন।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বাগেরহাট জেলার শাখার নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং গত পহেলা জুলাই লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। সে একজন কর্মচারী হয়েও বাগেরহাট শহরে গড়ে তুলেছে একটি বিলাশ বহুল বাড়ি। এ ছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার কোটি টাকার বিভিন্ন সম্পদ। এসব সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার জন্য অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। একই দিনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর একই দিনে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, মো: মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে নিয়ন্ত্রিত হয়নি। তাই তাকে শাস্তিমুলক বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।