হবিগঞ্জের মাধবপুরের চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে ১ সন্তানের জননী কামরুন নাহার (৩০) হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী মোহাম্মদ আলী ওরুপে তোফাজ্জল ও তার ভাবি ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
অপরদিকে কামরুনাহারের লাশ শুক্রবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে পিতার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বহড়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সাজু মিয়ার মেয়ে কামরুন নাহারকে সাত বছর আগে মোহাম্মদ আলী ওরুপে তোফাজ্জলের কাছে বিয়ে। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে সন্তান জম্ম নেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয়। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর গোলাম মোস্তফা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন।
নিহত কামরুন নাহারের মামা ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন তার ভাগ্নিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
মোহাম্মদ আলী ওরুপে তোফাজ্জল ভাই ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়া বলেন কামরুনাহারের বাবার বাড়ীর লোকজন আমাদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে লুট-পাট করেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ-উল্যা জানান-নিহতের বাবার বাড়ীর লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে আটক করে শুক্রবার কোটে প্রেরন করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।