এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়েই একটি গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ তাদের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসীদের নিজেদের পক্ষের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে ‘পরাশক্তির দালালি’ করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন হওয়া উচিত। টাইম ফ্রেম বেঁধে যেভাবে নির্বাচনের জন্য আমরা দাবি করছি, ঠিক একইভাবে আমরা সংস্কারটা চাচ্ছি। একইভাবে আমরা বিচারটা চাচ্ছি।
আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিচার এবং সংস্কারের মধ্য দিয়েই যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্রে উত্তরণের পথের দিকে আমরা যেতে পারি। এর জন্য সবপক্ষই হচ্ছে আমাদের টার্গেটেড।’
ঐক্যবদ্ধ শক্তি এবং প্রতিপক্ষ কারা, এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সব ধর্মের, সব ভাষার, সব সংস্কৃতির এবং যারা এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাতে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্বে যারা বিশ্বাস করে, তারা আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।’
এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে থেকে যারা ভারতে আশ্রয় নিতে চায়, বাংলাদেশে বসে যারা বিভিন্ন পরাশক্তির দালালি করতে চায়, তারা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
বাংলাদেশের মাটির বিরুদ্ধে যারা অবস্থান করে, বাংলাদেশে থেকে যারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য, নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, সামান্য অংশ নিজেদের পকেটস্থ করার জন্য কাজ করে, তারা হচ্ছে সার্বভৌমত্ব বিরোধী।’ সামনের নির্বাচনে ভোটারদের টার্গেট কারা, বিশেষ করে নতুন চার কোটি ভোটার নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেখেন, আমরা এখন সাংগঠনিক বিস্তার সারা দেশে করতে চাচ্ছি।’
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।