মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মূল্যস্ফীতি কমানো নিয়েই সরকারের মূল ভাবনা বলে জানান তিনি।
বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে মানুষ সমস্যায় রয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে মি. আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণ কেবলমাত্র অর্থনৈতিক নয়।
চাল-ডালের মতো অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ কখনোই কমতে দেবেন না বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা ক্রয় কমিটিতে চাল, মসুর ডাল ক্রয়ে অনুমোদন অনবরত দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিন্তু ফরেন এক্সচেঞ্জে বিরাট চাপ রয়েছে, তারপরও দিচ্ছি। গতকাল গভর্নর ও ব্যাংকারদের সঙ্গে বসেছি। সেখানে তাদের বলেছি, যেভাবেই হোক আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জে সাশ্রয় করতে হবে। তবে অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ আমরা কোনোদিনই কমতে দেব না। এর মধ্যে চাল, মসুর ডাল, ভোজ্যতেল সয়াবিন, এলএনজি এবং সারের সরবরাহ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ অর্থের ব্যয় হচ্ছে এতে আমাদের কতোটা যে চাপ পড়ছে সেটা বাইরে থেকে জানার কথা না। সেটা ব্যাংকার ও আমি জানি তবে সেটা কোনো খারাপ অবস্থা না। যদি আমরা কাউন্টার ইস্যুগুলো না নিই তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা একটা অকল্পনীয় অবস্থায় চলে যেত। কারণ কোথাও কোনো অর্থ নেই। সব ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন হয়েছে বলে আমার জনা নেই। ব্যাংকের ডিপোজিটের টাকাসহ চলে গেছে। টাকা তো নেই ব্যাংকের কাছে।
যাযাদি/ এম