জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী এর অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা জামাতের উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১লা জুলাই) উপজেলা জামাতের কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দরছ উদ্দিন ও সভা পরিচালনা করেন পৌর জামায়াতের সভাপতি আবুল হোসাইন মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল মাওলানা আফজাল হোসাইন, শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রবিউল হুসাইন, পৌর জামায়াতের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান, জামাত নেতা জামাল উদ্দিন বেলাল, সৈয়দপুর ইউনিয়ন জামায়াতে সভাপতি সৈয়দ আব্দুল আলী, যুব বিভাগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রাজু, পাটলী ইউনিয়ন সভাপতি তৈয়বুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা জামাতের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা দায়িত্বশীল বৃন্দ।
বক্তাগন বলেন, ফিরে এলো ’২৪-এর সেই রক্তাক্ত জুলাই। কোটা বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। এই জুলাইয়ে স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও বিপথগামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠুর-নির্দয়ভাবে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে, কুপিয়ে, পুড়িয়ে গণহত্যা চালায়। ছাদের ওপর, ঘরের জানালায়, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বুকে গুলি লেগে শরীরের একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেকপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গণহত্যা চালানোর পর পুড়িয়ে ফেলা হয় মৃতদেহ। দেওয়া হয় গণকবর। শোকে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। অবশেষে দম্ভের পতন ঘটে। ৩৬ দিনের টানা আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। রক্তক্ষোভের দিনগুলোকে আমরা স্মরণ করছি। আমরা সকল শহিদদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করি। আহতদের জন্য দোয়া করি।