সারাদেশ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোশাহিদ তালুকদারের বিরুদ্ধে গোচারণভূমি ও উন্মুক্ত জলাশয় জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১জুলাই)দুপুরে মধ্যনগর বাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। পরে প্রতিবাদকারী জনতা অবৈধ জলাশয় ও সরকারি গোচারণভূমি দখলের প্রতিবাদে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে । এলাকার নিরীহ মানুষকে মোশাহিদ তালুকদার এর লোকজন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করারও অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবাদী জনতা। এছাড়াও গোচারণভূমি ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী তুলেছেন তারা।

তাছাড়া মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন,৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ পতনের পরে বিএনপির প্রভাব কাটিয়ে আমাদের এলাকার সাধারন জনগণের ব্যবহারের মাড়াইখলা (গোচারণভূমি) জবরদখলে নেন এই বিএনপি নেতা মোশাহিদ তালুকদার ।

তাছাড়াও কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার পাশের বিল গোড়াডুবা ইজারা নেন এই নেতা। ইজারা পাওয়ার পরে আমাদের করুয়াজান মৌজার উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরতে নিষধ করেন তিনি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই মৌজা উন্মুক্ত রাখার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন উনার আপনা ভাই স্বজনরা । আমরা জন্মলগ্ন থেকে এই গোচারণভূমি ও মৌজাটি ব্যবহার করে আসছি।

এখন মোশাহিদ তালুকদার তার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমাদেরকে নিষেধ বাঁধা করছেন । এসময় বক্তারা এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে এই নেতার লোকজন নানানভাবে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ তুলেন।

এব্যাপারে বিএনপি নেতা মোশাহিদ তালুকদার বলেন আমি কোনো সরকারি জায়গা ও উন্মুক্ত জলাশয় দখল করিনি, এবং কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন এই ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে, এরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে । আমি এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহম্মেদ মিলন বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না। আপনার মুখ থেকেই শুনলাম। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি অনৈতিক বা বেআইনি কাজে লিপ্ত হয়, তার বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন,এ ব্যাপারে আমি কোন অভিযোগ পাইনি।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।