শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
উপকূলীয় অঞ্চলে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ

বছরে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন সম্ভব

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:০৯
বছরে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন সম্ভব
বছরে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন সম্ভব

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম। জলবায়ুর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের প্রায় ৫২ শতাংশ জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শুষ্ক মওসুমে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমি পতিত থাকে। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা সম্ভব।

১০ সেপ্টেম্বর খুলনার আভা সেন্টারে এসিআইএআর, অস্ট্রেলিয়া ও কেজিএফ, বাংলাদেশ এর অর্থায়নে পরিচালিত উপকূলীয় অঞ্চলে শস্য নিবিড়িকরণ প্রকল্পের মিড-টার্ম রিভিউ কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।

কর্মশালার শুরুতে সিএসআইওআরও, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো: মাইনুদ্দিন বিগত দুই বছরের গবেষণার ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর বলেন, টেকনোলজি উদ্ভাবন, মিষ্টি পানির সংরক্ষণ এবং পোল্ডার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক ড. দেবশীষ সরকার বলেন বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং জাতসমূহ যেমন- সূর্যমুখী, তরমুজ, মুগবিন, পটেটো দক্ষিণাঞ্চলে আরো সম্প্রসারিত করতে হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতে অনেক সফলতা রয়েছে এবং শস্যের নিবিড়তাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দেশের ভানারেবল দক্ষিণাঞ্চলে এখনো বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। ঘাত সহনশীল জাত উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লবণাক্ত দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে