শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
সফিকুল ইসলামের সফলতা

ঢাকায় ছাদবাগানেই বিভিন্ন জাতের শতকেজি আম

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ জুন ২০২৫, ২২:২০
ঢাকায় ছাদবাগানেই বিভিন্ন জাতের শতকেজি আম
আমেরিকান রেড পালমার জাতের আমের সঙ্গে সফিকুল ইসলাম।ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন জাতের আম ঝুলে আছে সফিকুল ইসলামের ছাদবাগানে এখন আমের মৌসুম। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে, ট্রেনে আম আসছে ঢাকায়। তবে এর মধ্যে ঢাকায় একটি ছাদবাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

বাড্ডার নূরের চালা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের ছাদবাগানে ঝুলে আছে শত শত আম। আর এসব আম বাজারের যেকোনো আমকে টেক্কা দেওয়ার মতোই। স্বাদ ও গন্ধও অসাধারণ।

পেশায় ব্যবসায়ী হলেও সফিকুল নিজ বাসার ছাদে বাহারি ফুল আর ফলের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন চমৎকার একটি ছাদবাগান। সে বাগানেই এখন গাছে গাছে ঝুলছে হরেক রঙের নানা জাতের আম।

মালয়েশিয়ান বারোমাসি আম লুবনা

আমেরিকান রেড পালমার জাতের আম । মৌসুমি থেকে বারোমাসি। সব রকম আমের গাছ আছে সফিকুলের ছাদবাগানে। সারাবছরই ছাদে আমের দেখা মিলবে। বারোমাসি মালয়েশিয়ান লুবনা আম থেকে থাই কাটিমন সবই আছে।

তাই ফল আসে সারাবছর। আমের এই ভর মৌসুমে গাছভর্তি পাকা, পরিপক্ব আম যেমন আছে, কোনো ডালে মুকুল বা গুটি আমও আছে। আছে মহাচানক, রঙিন আমেরিকান পালমার, থাই নামডকমাই, থাই ব্যানানা আম, হাঁড়িভাঙা, কিউজাই, পুনাই, চেন্নাইসহ অনেক জাতের আম।

আমের জাত সংগ্রহ: প্রতি মৌসুমে তিন থেকে চার মণ আম হয় সফিকুল ইসলামের ছাদবাগানে প্রতি মৌসুমে তিন থেকে চার মণ আম হয়।

ছাদবাগানের ক্ষেত্রে কেউ পছন্দ করেন ফুল গাছ, কেউ ফলের। সফিকুল ইসলামের পছন্দ দুটোই। তাই তাঁর বাগানে ফলের গাছের পাশাপাশি ফুল গাছও আছে। শীত, বসন্তে বাগান ছেয়ে থাকে নানা রকম ফুলে। আর ফলের মধ্যে বেশি আছে আমগাছ।

চিয়াং মাই জাতের আমের ফলনে খুশি সফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার। চিয়াং মাই জাতের আমের ফলন বারোমাস।

লুবনা আমের গাছটা দেখিয়ে জানালেন, সেটা কুমিল্লার কোটবাড়ী থেকে আনা। ছাদে সে গাছটি এখন আমে ভরা। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গির সীমান্তবর্তী মন্ডুমালা গ্রামে বিশাল এলাকাজুড়ে ২০০ বছরের পুরোনো যে সূর্যপুরী আমগাছটি আছে, সেই গাছের কলম করা চারাও আছে তাঁর ছাদবাগানে।

আমেরিকান রেড পালমার জাতের আম

প্রতি মৌসুমে তিন থেকে চার মণ আম হয় সফিকুল ইসলামের ছাদে। যেহেতু একবারে সব আম পাড়া হয় না, তাই কড়ায়গণ্ডায় হিসাব পাওয়া কঠিন।

তবে জাতভেদে এই বাগানের একেকটি আমের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত। এ বছর ডাল ছাঁটাইয়ের কারণে আমের ফলন অন্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও দুই মণের কম হবে না। এখনো তার গাছে এক মণের মতো আম ঝুলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে