শেরপুর জেলার সিংহভাগ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভশীল। অত্র জেলায় বোরো চাষীর সংখ্যা শতকরা ৬০-৬৫ ভাগ। এদের মধ্যে বর্গাচাষীর সংখ্যা ১৩-১৬ শতাংশ। এবছর বোরো চাষীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই অত্র জেলার অধিকাংশ লোকের কৃষি ফসল একমাত্র আয়ের উৎস।
শেরপুর জেলার কৃষকেরা বছর ব্যাপী নানা জাতের কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকে। বর্তমান সময়ে বোরো ধান কাটার মুখ্য সময়। তাই কৃষকরা এখন আবহাওয়াক উপেক্ষা করে ভোর বেলায় বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বোরো ফসলের বিজ ভালো হওয়ার ফলে বোর ফসলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে অতিমাত্রা শীত ও কুয়াশার কারণে বোর বীজতলার বীজ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে,কিন্তু এবছর তা হয়নি ।
এখন ধান কাটার মুখ্য সময় হয়ে উঠেছে। তাই কৃষকরা বোরো মৌসুমের শুরতেই বুক ভরা আশা নিয়ে ঘরে বোরো ধান তুলার সপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে ধান কর্তন করতে শুর করেছে কৃষকরা। প্রকাশ থাকে যে, অত্র জেলার বোরো ফসলের উৎপাদিত ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের খাদ্য চাহিদায় যোগান্তকারী ভূমিকা রাখে। কৃষকের উৎপাদিত বাড়তি বোরো ফসলের ধান বিক্রি করে কৃষকের অন্যান্য চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
ধানের বাজার ভালো থাকায় এবছর কৃষকরা বোরো চাষে অনেক আগ্রহী হয়ে চাষাবাদ করেছেন। তাই বিগত বছরের চেয়ে অত্র জেলায় এবার বোর চাষ বেশী হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে জানা যায়, এবছরের লক্ষ্যমাত্রা যা ধরা হয়েছে, তারচেয়ে বেশী জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন । আবহাওয়া অনুকুলে থাকা ও সময়মতো কিটনাশক, বীজ, সার ও পরিচর্যার ফলে ফলন ভালো হয়েছে । কোথাও মাজরা পোকা বা আবাদের তেমন ক্ষতি হয়নি বলেও কৃষকরা জানান ।
ঝিনাইগাতী কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানায় ১৪ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অর্জন হবে বলে আশা করা হচ্ছে । উপজেলার চারদিকে ধান পেকে আসছে নিন্ম এলাকায় ধানকাটা শুরু হয়েছে । কৃষি অফিসের পরামর্শ গ্রহণ করেছে যারা কোন কৃষকের মাজরা পোকা, অতিরিক্ত কিটনাশক ব্যবহারে বা ফসলের ক্ষতি হয়নি বলে জানান ।
অজ্ঞাত কারণে অল্প জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শের অভাবে মাজরা পোকা আক্রমন করে ফসলের কিছু ক্ষতি হলেও তা কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানান ।