বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের (জাবি) আবৃত্তি সংগঠন ‘ধ্বনি’।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের সেমিনার কক্ষে ধ্বনি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত রজতজয়ন্তী আবৃত্তি উৎসবে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির এখন ধ্বংসের মুখে

সম্মাননা অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা বলেন, সেলিনা হোসেনের খ্যাতি শুধুমাত্র একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে নয়, তিনি একজন লড়াকু মানুষ। সমাজের নানা সংকটে তিনি লেখনীর পাশাপাশি সশরীরেও এসে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা ও লেখনীতে তরুণরা অনুপ্রাণিত ও দীক্ষিত হয়েছেন।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, সেলিনা হোসেন এমন একজন মানুষ যার কর্মকে অল্প কথায় তুলে আনা যায় না। আমাদের বেড়ে ওঠার সাথে তার উপন্যাস জড়িত। তাকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া আমাদের জন্য খুবই আনন্দের একটি উপলক্ষ।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বগুড়ার করতোয়া নদীর তীরে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে দেশের মানুষকে ভালবাসতে হয়। সেখানকার পরিবেশ আমাকে মানবিক দর্শনের জায়গাটা বুঝতে শিখিয়েছে। আমার লেখাগুলো তরুণদের কাছে যাচ্ছে। আমার জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।

তিনি আরও বলেন, শুধু বই পড়ে নয়, মানবিক দর্শন থেকে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষের প্রজ্ঞার জায়গা থাকা উচিত। সমাজের সবার জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। তাহলেই সামাজিক মূল্যবোধ ঠিক থাকবে। অন্যথায় সুন্দর সমাজটা ঘৃণার জায়গায় পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১২৫ টি বই লিখেছেন সেলিনা হোসেন। তার লেখাগুলো দেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১ টি বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। দেশে তার রচনার উপর ১৩টি পিএইচডি হয়েছে।

যাযাদি/ এস