পলাশীর যুদ্ধ এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ সভা। সেন্টার ফর মিলিটারি হিস্ট্রি ঢাকা (CMHD)—যা প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান—এই আয়োজন করে।
সভায় অংশগ্রহণ করেন দেশের প্রথিতযশা রাজনীতি বিশ্লেষক প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সিএমএইচডি-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শেখ আকরাম আলী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএফএম নুরউদ্দিন পিএসসি (অব.), কর্নেল মোহাম্মদ ফারুক পিএসসি (অব.), ব্যারিস্টার এ কে এম রেজাউল করিম, চেয়ারম্যান, ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার, মেজর মাসুদুল হাসান (অব.), প্রেসিডেন্ট, মুসলিম ওয়ার্ল্ড, এবং নবাব পরিবারের নবম প্রজন্ম নবাব আব্বাসউদ্দৌলাসহ আরও অনেক গবেষক ও সিরাজউদ্দৌলা-অনুরাগী।
আলোচনার শেষ পর্বে নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন, নেতৃত্ব ও প্রতিরোধ সংগ্রাম নিয়ে গবেষণার জন্য একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রস্তাব রাখেন প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম। উপস্থিত সবার সর্বসম্মত সমর্থনে সিদ্ধান্ত হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলা একাডেমি নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে।
এ লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শেখ আকরাম আলী কে আহ্বায়ক এবং ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম কে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। কমিটিকে জুলাই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির কাঠামো ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস, তাঁর প্রতিরোধ সংগ্রাম এবং উপনিবেশবিরোধী চেতনার ধারক হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।