অনলাইনে পণ্য বিক্রির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তার নেট আর্থিক সম্পদ ১৮ হাজার পাঁচশ’ কোটি ডলারের ঘর পার করেছে।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাবটি ২০১৭ সাল থেকে ধরে রেখেছিলেন জেফ বেজোস।
বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স প্রকাশিত এ বছরের শীর্ষ ৫০০ সম্পদশালীর তালিকার প্রথমে এসেছে প্রথাবিরোধী এই ধনকুবের নাম।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় শীর্ষ ধনীর স্থানে উঠে এসেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান।
বিশ্বে পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির ধারণা নিয়ে নতুন এক মোড়ক উন্মোচন করেন ইলেকট্রিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘টেসলা’। রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নামের সাথে জড়িয়ে আছে টেসলা, পেপ্যালসহ আরও বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের তার নাম।
এদিকে, ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা, জেফ বেজোসের মোট সম্পদের তুলনায় তিন বিলিয়ন ডলার বেশি।
১৯৭১ সালে আফ্রিকার প্রেটোরিয়াতে ইলন মাস্কের জন্ম। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর মাস্ক আর তার বড় ভাই বাবার সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও সম্পর্কে বৈরিতা তৈরি হওয়ায় মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তারা তিন ভাইবোন। হাইস্কুল শেষে মা আর ভাইবোন নিয়ে কানাডায় চলে যান মাস্ক। সেখানে ওন্টারিও’র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও স্নাতক পাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়ায় পদার্থ আর অর্থনীতিতে। স্নাতকোত্তর শেষে পিএইচপডি’র জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ঠিকই কিন্তু অর্থ উপার্জনের নেশায় পিএইচডি ডিগ্রি আর নেওয়া হয় না তার তবু সেই মাস্ক আজ বিশ্বের সেরা ধনী।
ব্যক্তি জীবন খুব একটা সুখকর ছিল না ইলন মাস্কের। ২০০০ সালে বিয়ে করেন কানাডিয়ান লেখিকা জাস্টিনকে, বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। সেই ঘরে তার ছেলে মেয়ে আছে। এরপর ২০১০ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী তালুলাহ রিলেয়কে। বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১২ সালে। আবার তাকেই বিয়ে করেন ২০১৩ সালে, আবারও বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রিমসের সঙ্গে। তাদের ঘরে একটি ছেলে আছে।
যাযাদি/ এমএস
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd