শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অপরিপক্ক তরমুজে সয়লাব হাট বাজার 

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) প্রতিনিধি
  ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২২
ছবি-যায়যায়দিন

তরমুজ একটি সুস্বাদু ফল। আমাদের দেশে তরমুজ এর চাহিদা অনেক। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে তরমুজের ফলন ব্যাপক। তরমুজ সাধারণত বেলে, দোঁয়াশ মাটিতে ভালো হয়। উম্মূক্ত কৃষি জমি যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে, সেই সব জমির তরমুজ অত্যন্ত সুস্বাদু ও রসালো হয়।

পরিপক্ক তরমুজ বোঁটার সঙ্গে যে আকর্শি থাকে তা শুকিয়ে বাদামি রং হয়। খোসার উপরে সূক্ষ লোমগুলো মরে পড়ে গিয়ে তরমুজের খোসা চকচকে হয়। তরমুজের যে অংশটি মাটির ওপর লেগে থাকে তা সবুজ থেকে উজ্জল হলুদ রংঙের হয়ে ওঠে। তরমুজের শাঁস লাল টকটকে হয়। আঙ্গুল দিয়ে টোকা দিলে যদি ড্যাব ড্যাব শব্দ হয় তবে বুঝতে হবে যে ফল পরিপক্কতা লাভ করেছে। অপরিপক্ব ফলের বেলায় শব্দ হবে অনেকটা ধাতবীয়।

আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী। বীজ বোনার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম পক্ষ সর্বোত্তম। আগাম ফসল পেতে হলে জানুয়ারি মাসে বীজ বুনে শীতের হাত থেকে কচি চারা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য পলি টানেল ব্যবহার করা যায়।

প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বপন করা যাবে। বীজ বপনের ৮-১০ দিন আগে মাদা তৈরি করে মাটিতে সার মিশাতে হয়। ২ মিটার দূরে দূরে সারি করে প্রতি সারিতে ২ মিটার অন্তর মাদা করতে হয়। প্রতিটি মাদা সাধারণত ৫০ সেমি. প্রশস্ত ও ৩০ সেমি.গভীর হতে হবে। চারা গজানোর পর প্রতি মাদায় দুটি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলাই উত্তম।

তরমুজের বীজ রোপণ করার পর পটাশ সার ব্যবহার করলে তরমুজের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফলের মান ও স্বাদ বাড়ায়।

নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে তরমুজ গাছগুলো ভালো থাকে এবং ফল উৎপাদনে এই সারের গুরুত্ব অপরিসীম। ফসফরাস সার ফুল পরিণত ও উন্নত মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

রোজায় তরমুজের চাহিদা ব্যাপক থাকলেও এ বছর রোজাকে সামনে রেখে বর্তমান বাজারে যে সমস্ত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ওই সব তরমুজ অধিক মুনাফার আশায় কৃষকের কাছ থেকে বেপারীরা ক্রয় করে চড়া দামে বিক্রি করতে বিভিন্ন হাটে যায়। কিন্তু অপরিপক্ক তরমুজ বাজারে তেমন চাহিদা না থাকায় লাভের চেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকারি ব্যাবসায়ীযরা।

প্রতিবছর খুচরা বিক্রেতারা তরমুজ কেটে বিক্রি করলেও এবারে তাঁরা কেটে বিক্রি করছেন না। তরমুজ কাটলেই ভিতরে তরমুজের লাল রঙের পরিবর্তে সাদা রং দেখা যায় এতে ক্রেতারা তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

এমনকি এই অপরিপক্ক তরমুজ খেয়ে অনেক স্থানে অসুস্থ হ‌ওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে