সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব: বিজেআরআই মহাপরিচালক

কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধি
  ০৯ মে ২০২৪, ১৯:৩২
ছবি-যায়যায়দিন

গবেষকদের গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর নয়টি প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ফলাফল পর্যালোচনা শীর্ষক একটি সেমিনার বিজেআরআই এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিজেআরআই এর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ প্রধান কার্যালয়ে উক্ত “National Science & Technology (NST) Research Project Activities (2023-2024) at BJRI” বিষয়ক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ওয়ায়েস কবির এবং সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর যুগ্মসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ এবং কেজিএফ এর জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. মনোয়ার করিম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ওয়ায়েস কবির বলেন, আজকের পৃথিবীতে যেখানে পরিবেশ এবং জলবায়ু দুটি খুবই চিন্তার বিষয় সেখানে পাটের ভুমিকা অনেক বেশি।

তিনি বলেন, “আমাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠিতে পাট উৎপাদন করা হয় জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য, তাই সারা বাংলাদেশে কৃষি পর্যায়ে কৃষককে কিছু পাট উৎপাদন করতেই হয়।

সেকারণে পাট ছিল, আছে, থাকবে। তবে, পাটের গবেষণায় একটি বড় অসুবিধা হলো আন্তর্জাতিকভাবে ধানের গবেষণার জন্য আছে ইরি, গম ও ভুট্টার জন্য রয়েছে সিমিট কিন্তু পাটের জন্য তেমন কোন গবেষণা সেন্টার নেই। এজন্য আন্তর্জাতিক যতগুলো কৃষি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের উচিৎ পাট নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা।”

গবেষণার ক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের যে উদারহস্ত তা বিজ্ঞানীদের যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে ড. ওয়ায়েস কবির পাট বিজ্ঞানীদের আহবান জানান।

বিজেআরআই মহাপরিচালক বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানের গবেষণায় একদিকে যেমন গবেষণার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তিও অলংকৃত হচ্ছে।”

ড. আউয়াল বলেন, “বাংলাদেশে বীজের চাহিদা প্রায় ৪-৫ হাজার মেট্রিকটন। যেখানে ২৮% আমরা নিজেরা উৎপাদন করি, বাকি ভারত থেকে আমদানী করতে হয়। ফলে সরকারের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। আমরা বিজেআরআই যে প্রযুক্তি আবিস্কার করেছি, যে ক্রপিং প্যাটার্ন আবিস্কার করেছি, তাতে বাংলাদেশে পাট বীজের আমদানী নির্ভরতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। আমার বীজ আমি করবো এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিজেআরআই কাজ করে যাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্বের পরিবেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে পাট উৎপাদন করতে হবে। স্বাধীনতার উত্তরকালে বাংলাদেশে পাট উৎপাদিত জমির পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ হেক্টর, উৎপাদন ছিল ১২ লক্ষ মেট্রিকটন। আজকে জমির পরিমাণ ৭.৫ লক্ষ হেক্টর কিন্তু উৎপাদন হয় ১৬ লক্ষ মেট্রিকটন। আমরা আশা করি আমরা দ্রুতই বিশ্বে পাট উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করবো।”

উক্ত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (কারিগরি) মোঃ মোসলেম উদ্দিন, পরিচালক (জুট-টেক্সটাইল) ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, পরিচালক (কৃষি) ড. নার্গীস আক্তার, পরিচালক (পিটিসি) ড. মাহমুদ আল হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. এস. এম. মাহবুব আলী সহ বিজেআরআই এর সকল বিভাগের সিএসও, পিএসও এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে