বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে জয়ী হলে শিল্প রক্ষায় এ খাতের ‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ।
সোমবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে প্যানেল পরিচিতির শেষ দিনে এমন প্রতিশ্রুতি দেন প্যানেলের প্রার্থীরা।
৩১ মে বিজিএমইএ নির্বাচন হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ভোট চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে ৭৬ জন প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
বিজিএমইএ নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ ইকবাল। তিনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান।
মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, এবার নির্বাচন অন্যান্য বার নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে আলাদাভাবে হবে। এবার আমরা নতুন ভোটার বক্স বানাইয়াছি। একজন ভোটার ভোট দিয়ে খামের ভিতর ভরে তারপর বক্সে ফালাবেন।শনিবার থেকে শুরু হয় পাঁচ দিনের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। প্রথম তিন দিন হল ঢাকায়; পরের দুদিন হবে চট্টগ্রামে।
প্যানেল লিডার ও চৈতি গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম বলেন, "বছরে ১২ হাজার ডলার রপ্তানি করা পোশাক খাত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ। ভোটে জিতলে ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে কাজ করব।
“পোশাক খাত এখন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।"
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, "নির্বাচনের পর গ্রুপ ভুলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিদেশিদের নিয়ে বিনিয়োগ সম্মেলন করার পর সরকারের কাছে দেশিয় উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘কিছু একটা করার’ আহ্বান করেন বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন।
ভোটের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল মিলিয়ে ৩৫ পরিচালক নির্বাচিত হবেন। তারা আগামী ২০২৫-২৭ মেয়াদে বিজিএমইএ পর্ষদের দায়িত্ব ঠিক করবেন।
শনিবার থেকে শুরু হয় পাঁচ দিনের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। প্রথম তিন দিন হল ঢাকায়; পরের দুদিন হবে চট্টগ্রামে।