পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার চাইলে এখনই দেশি-বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এগোতে হবে এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোববার (১৫ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর বলেন, অর্থপাচার রোধ ও উদ্ধারে সরকার দেশে ও বিদেশে মামলা করতে পারে। কী ধরনের মামলা হবে এবং কীভাবে হবে—তা নির্ধারণ করবেন আইনজীবীরা।
তিনি আরও বলেন, চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাই আগে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তা আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন যে, আমরা যে দাবি করছি তা সঠিক কি না।
এ সময় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি (এডিআর) ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এডিআর পদ্ধতিতেও অর্থ উদ্ধার সম্ভব, তবে তা আদালতের বাইরের একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে দুপক্ষের আইনজীবী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এ পদ্ধতিতে যাবেন কি না, সেটি নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশীয় আদালত এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিদেশি আদালতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, এখন সরকারের নির্দেশ পেলেই আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।