ভারতে চলতি মাসের শুরুতে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ১ হাজার ৭৮ রুপিতে পৌঁছেছিল। গত শুক্রবার তা প্রায় ৯৬ হাজার ১০০ রুপিতে নেমে আসে। তবে দাম কমে এলেও দেশটিতে ফিজিক্যাল গোল্ডের (গহনা, মুদ্রা বা স্বর্ণের বার) চাহিদা এখনো নিম্নমুখী। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ক্রেতারা আরো দরপতনের অপেক্ষায় আছেন। তবে এ সময় চীন ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণের চাহিদা কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। খবর রয়টার্স।
ভারতীয় ডিলাররা চলতি সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ দামের তুলনায় প্রতি আউন্স স্বর্ণে সর্বোচ্চ ১৮ ডলার পর্যন্ত ছাড় দিয়েছেন। আগের সপ্তাহে এ ছাড়ের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ২৭ ডলার। কলকাতার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমানে কম চাহিদার মৌসুম চলছে। এছাড়া ক্রেতারা আরো বড় দরপতনের অপেক্ষায় আছেন।’
মুম্বাইয়ের এক বুলিয়ন ডিলার বলেন, ‘গহনা ব্যবসায়ীরা নতুন স্বর্ণ কম কিনছেন। কারণ খুচরা ক্রেতারা পুরনো গহনা বদলে নতুন গহনা নিচ্ছেন, যা অনেকাংশেই চাহিদা মেটাচ্ছে।’
বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ চীনের ডিলাররা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটের দামের সঙ্গে প্রতি আউন্সে ১২-১৪ ডলার পর্যন্ত মূল্য সংযোজন করে বেচাকেনা করছেন, আগের সপ্তাহে যা ছিল আউন্সপ্রতি ১০ ডলার। এ বিষয়ে উইং ফাং প্রিসিয়াস মেটালসের হেড অব ডিলিং পিটার ফাং বলেন, ‘মানুষ এখনো আপৎকালীন বিনিয়োগ হিসেবে কিছু স্বর্ণ কিনতে আগ্রহী। যদি দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নামে তাহলে চাহিদা বাড়তে পারে।’
হংকংয়ে আন্তর্জাতিক দামের সমান বা সর্বোচ্চ ২ ডলার মূল্য সংযোজন করে স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে যা ছিল সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ ডলার ২০ সেন্ট। গোল্ড সিলভার সেন্ট্রালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্রায়ান ল্যান বলেন, ‘খুচরা ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।’