বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি কর বাতিল করল কানাডা

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুলাই ২০২৫, ২০:১২
মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি কর বাতিল করল কানাডা
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপিত কর কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বাতিল করেছে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার এ বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেন। ওই সময় এ করকে ‘নির্লজ্জ আক্রমণ’ উল্লেখ করে কানাডা থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর আরো উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন তিনি।

নতুন এ প্রযুক্তি কর গতকাল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কানাডা জানিয়েছে, ওই কর বাতিল করছে।

এ ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স (ডিএসটি) কার্যকর হলে অ্যামাজন, মেটা, গুগল ও অ্যাপলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের বড় অংকের কর দিতে হতো। প্রস্তাবিত বিধিতে বলা হয়েছিল, কানাডায় ২ কোটি ডলারের বেশি আয়ের ওপর কোম্পানিগুলোকে ৩ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

ডিএসটি বাতিলের তথ্য জানিয়ে কানাডার অর্থমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শঁপাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২০ সালে ডিএসটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ অনেক বড় প্রযুক্তি কোম্পানি কানাডায় কার্যক্রম পরিচালনা করলেও আয় থেকে কর দিচ্ছে না।’

যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ এখন করনীতিতে পরিবর্তন আনছে। তাদের লক্ষ্য হলো বড় বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম থেকে আরো বেশি কর আদায়। অভিযোগ রয়েছে, লাখ লাখ গ্রাহক ও বিজ্ঞাপনদাতা থাকলেও কাঠামোগত ফাঁকফোকরের কারণে এসব কোম্পানি স্বল্প কর দেয়।

নতুন ডিজিটাল পরিষেবা কর বাস্তবায়ন হলে কানাডা প্রতি বছর প্রযুক্তি জায়ান্টদের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি কর পেত।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডার করনীতিকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে কানাডার ওপর আমাদের প্রচণ্ড ক্ষমতা রয়েছে।’

কানাডার রফতানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে, যার মূল্য বছরে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদিত পণ্যের মাত্র ১৭ শতাংশ যায় কানাডায়।

সম্প্রতি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নানা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই নতুন শুল্ক আরোপের পাশাপাশি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত করারও হুমকি দেন। এমন বৈরি প্রেক্ষাপটে কানাডায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। মার্ক কার্নি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হয়েছে। এমনও ঘোষণা দিয়েছে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে