শিক্ষা

ইসলামিক ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ আজাদ বলেছেন, 'বাংলাদেশ ৯৮ শতাংশ জেনেটিক মেডিসিন উৎপাদনে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশে তা রপ্তানি হচ্ছে। শুধুমাত্র পাবলিকেশনের উপর জোর না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিকিৎসা খাতে গবেষণার উপর জোর দিতে হবে।'

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে সেল কালচার ও সিনথেটিক বায়োলজি ল্যাব উদ্বোধন শেষে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে উন্নত দেশগুলো ভ্যাক্সিন প্রযুক্তি উন্নত করেছে। ইন্ডিয়া-চায়নার মত দেশগুলো নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের গবেষণার সক্ষমতা বাড়াতে হলে পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্সের উপর জোর দিতে হবে। মেধা পাচার প্রতিরোধে গবেষণার বাজেট আরও বৃদ্ধি করতে হবে৷

ল্যাব উদ্বোধন শেষে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন অংশীজনেরা।

বৈঠকে সেল কালচার ল্যাবের প্রধান গবেষক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্ব। শুধু স্বাস্থ্যসুরক্ষাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৈনন্দিন জীবনে অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় প্রয়োজন।’

এসময় তিনি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জীববিজ্ঞানের অত্যাধুনিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘জীববিজ্ঞানে বিশ্বমানের গবেষণা কাঠামোর ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। অত্যাধুনিক ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র এবং সদ্যস্থাপিত সেল কালচার এবং সিন্থেটিক বায়োলজি ল্যাব আমাদের প্রতিভাবান গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ইউজিসি সাবেক সদস্য অধ্যাপক মুহিবুর রহমান, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক কৌশিক সাহা, অধ্যাপক শুভ্র কান্তি দে, অধ্যাপক নিহাদ আদনান, সহযোগী অধ্যাপক নাফিসা আজমুদা, সহযোগী অধ্যাপক সালমা আখতার, ফিরোজ আহমেদ, দৈনিক আমাদের সময়ের নিবার্হী সম্পাদক মাইনুল আলম, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, জেনেসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উমা সাহা, ইনসেপ্টা ফামার্সিউটিক্যালসের ম্যানেজার মো. সাখাওয়াত হোসাইন, বিকন ফামার্র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজিত কুমার কুন্ডু, বিকন ফার্মার নিবার্হী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হক পল্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/এসএস