জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা সম্পুর্ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরী হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে উপাচার্যকে ১ ঘন্টা সময় বেধে দেন শিক্ষার্থীরা কোটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে। এরপর রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের "দাবি মোদের একটাই পোষ্য কোটার বাতিল চাই, হলে হলে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে, সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীরা জানান, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই। আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমান উপাচার্য সব বিষয়ে টালবাহানা করছেন।জাকসু বানচালের অপচেষ্টা করছেন তিনি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৬ তারিখ জাকসুর তফসিল ঘোষণা এবং এই পোষ্য কোটা সম্পুর্ন বাতিল না করলে আমরা শিক্ষার্থী কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো।
এর আগে সকাল ১০ টায় কর্মচারীরা পোষ্য কোটার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে। এসময় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে কর্মচারীদের। সেই খবরে বিক্ষুব্ধ হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত উপাচার্যকে ১ ঘন্টা সময় দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সম্পুর্ন বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
যাযাদি/ এম