শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম মারধরের শিকার হয়েছেন।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সিলেট - সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। পরবর্তীতে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে সেনাবাহিনী।
রবিবার ( ১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিলেট–সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।
আহত শিক্ষককে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে পাঠানটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের কাছে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসেন।
একপর্যায়ে তাঁর গাড়ির সঙ্গে ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। তখন ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাঁকে মারধর করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে সিলেট–সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।
সেখানে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান। সেখানে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা ওই ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নগরীর আখালিয়া এলাকা সংলগ্ন মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল এর সামনে স্থানীয় এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে মারধর করে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।
এসময় সেনাবাহিনী সড়ক চলাচল স্বাভাবিক করতে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে এবং লাঠিচার্জ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে সেনাবাহিনী অনাকাঙ্ক্ষিত লাঠিচার্জের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। দোষীদের খোঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।