দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগ থেকে ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বর্তমানে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ‘ডেভলপমেন্ট এন্ড পারফরমেন্স ইভালুয়েশন অফ এ মাল্টি-ক্রপ মোবাইল ড্রায়ার’ শিরোনামে পিএইচডি গবেষণা করেন তিনি।
২০১৮ সালে হাবিপ্রবি’র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকারের অধীনে পিএইচডি ডিগ্রির গবেষণা শুরু করেন মো. শাহরিয়ার আলম।
উক্ত গবেষণায় তার কো-সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মারুফ আহমেদ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মো. শাহরিয়ার আলমের পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন দেয় হাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিল। শনিবার (১৭ মে) তার হাতে পিএইচডি সার্টিফিকেট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ড্রয়ারের উদ্ভাবক প্রফেসর ড. সাজ্জাত হোসেন সরকার ও কো-সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মারুফ আহমেদ।
পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে অশেষ শুকরিয়া এবং হাবিপ্রবি’র মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, সুপারভাইজার ও কো-সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র ও অন্যান্য সকলের নিকট আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে গেছি। সামনে আরও কাজ করতে চাই।
ইতোমধ্যেই মাল্টি ক্রপ ড্রয়ারের উদ্ভাবন করে দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন উক্ত গবেষণার সুপারভাইজর ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসাইন সরকার। সম্প্রতি তিনি মোবাইল গ্রেইন এন্ড সিড ড্রায়ার উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবনের উপর মো. শাহরিয়ার আলমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি বলেন, একটা ফলপ্রসূ, কার্যকরী ও অনন্য গবেষণার মাধ্যমে তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই গর্বিত।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, আমাদের বিভাগের অধীনে মো. শাহরিয়ার আলোমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সুপারভাইজার স্বনামধন্য গবেষক অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসাইন সরকার ও প্রফেসর মারুফ আহমেদকেও অভিনন্দন। তাদের এই অক্লান্ত কঠোর পরিশ্রমের কারণে আমাদের বিভাগের অধীনে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান সম্ভব হয়েছে।