‘নয়া দামান’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী তোসিবা বেগম। ভাইরাল হওয়া এই আঞ্চলিক গানের সঙ্গে নাচ করে ভিডিও বানিয়ে অনেকেই এখন আলোচনায়। ‘নয়া দামান’র পাশাপাশি একে একে ‘পালঙ্ক’ এবং ‘কালাচান’ প্রভৃতি গান গেয়েছেন। দেশে-বিদেশে স্টেজ প্রোগ্রামে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই সিলেটি কন্যা।
‘নয়া দামান’-এর পর নতুন গানের খবর কি?
দেশের বাইরেও তো গাইছেন?
হ্যাঁ, মূলত ‘নয়া দামান’ গানের জন্যও বিদেশ থেকে গান করার জন্য ডাক আসে। লন্ডন, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত যেতে হচ্ছে। দেশের বাইরে গিয়ে যখন দেখি বাংলাদেশের মানুষ বাংলা গান শোনার জন্য কতটা আগ্রহী তখন খুব ভালো লাগে। গান শুনে মানুষ যখন হাততালি দেন, প্রশংসা করেন তখন বেশ আনন্দ হয়।যুগের চাহিদা সেলফি বিড়ম্বনার অভিজ্ঞতা কেমন?
অনেকেই বলেন মমতাজের সঙ্গে আপনার চেহারা এবং গায়কির মিল আছে দেখুন, মমতাজ আপা একজনই, মমতাজ আপা আমাদের নমস্য ব্যক্তি, তাকে আমি ফলো করি, তার সঙ্গে দেখা করেছি, তার এলাকায় মধুমেলায় গিয়েছি, তাকে গান শুনিয়েছি, তিনি আমার প্রশংসা করেছেন, আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে করি। মমতাজ আপা আমাকে অনেক ভালোবাসা অনেক স্নেহ দিয়েছেন। আমি খুব খুশি।
আঞ্চলিক গানেই কি বন্দি রাখবেন নিজেকে? না, ঠিক তা না, আমি সব ধরনের গানই পছন্দ করি, অনেকের গানই শুনি। অনেককেই ফলো করি, আমি সব ধরনের গান গাইতে চাই।
গান নিয়ে আপনার পরিকল্পনা- আমি ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছি। দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে। সুতরাং আমার প্রথম প্রায়োরিটি পড়াশোনা। পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চা করে যেতে চাই। তবে এটাকে আপাতত পেশা হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে সবকিছুই সময়ের ওপর নির্ভর করবে। আর সিলেটের ভাষায় আরও কিছু মৌলিক গান নিয়ে শিগগিরই আসছি। ফকির লালনের গান নিয়ে কাজ করব। সবাই দোয়া করবেন।
‘নয়া দামান’ নিয়ে আপনার আক্ষেপের কথাও শোনা যায় অনেকেই বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় গানটি গাইছেন, যা খুব খারাপ লাগছে। গানটির ভাষা অরিজিনাল সিলেটি, সেজন্য গানটি সিলেটি ভাষাতেই সুন্দর। আমি চাই যে-ই গান করুক না কেন, গানের ভাষা যেন চেঞ্জ না করা হয়। আর আমাদেরকে যদি ভালো গানের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ভালো গান গাইতে পারব। আমি সিলেটের পুরনো গানগুলো গাইতে চাই। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সিলেটের গানের বিপুল ভাÐার তুলে ধরতে চাই। তবে ঠিক রাখতে চাই মূল সুর ও কথা, যাতে এগুলো বিকৃত হতে হতে হারিয়ে না যায়।
যাযাদি/ এস