নায়মা আলম মাহা- টিভি নাটকের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। বিশেষ করে ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকের নজরে পড়েছেন তিনি। নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে বেশ প্রতিশ্রুতিশীল। এই অভিনেত্রীর বর্তমান কাজসহ নাটকের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন...

নতুন কোনো কাজ করছেন? নতুন কোনো কাজ করা হয়নি এর মধ্যে। আমি কাজ করা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছি। অবশ্য, আগে থেকেই বেছে বেছে পছন্দের স্ক্রিপ্টে কাজ করেছি। কিন্তু এখন এমন হয়েছে, পছন্দের স্ক্রিপ্টও কম পাচ্ছি। তাই নতুন কাজ কমে গেছে। সব নাটকের কাজই একই ছকেবাঁধা হচ্ছে। তাই এখন আলাদা কিছু কাজের জন্য অপেক্ষায় আছি।

হাতে থাকা কাজগুলোর মধ্যে?

হাতে থাকা কাজগুলোর মধ্যে আছেÑ তুহিন হোসেনের ‘ক্যাম্পাস’ নামের একটি ধারাবাহিক, আরেকটি সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’। আর দুটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করা হয়েছে। সেই দুটি এখন রিলিজের অপেক্ষায় আছি। এখন আমি ধারাবাহিক নাটকের কাজও কমিয়ে দিয়েছি। যেহেতু এখন কোয়ালিটিফুল ধারাবাহিক কম হচ্ছে, তাই ধারাবাহিকও আমার কম হচ্ছে।

একসময় তো ধারাবাহিকেই আগ্রহ ছিল বেশি? এখন কোয়ালিটিফুল ধারাবাহিক খুব একটা না হওয়ায় এটাও কমিয়ে দিয়েছি। যেগুলো হচ্ছে হয়ত দেখা যাচ্ছে সেখানে অন্যেরা কাজের সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া গল্প ভালো লাগার বিষয়ও আছে। ক্যারেক্টারও ভালো লাগার ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়েই পছন্দসই হলেই নতুন ধারাবাহিকে কাজ করছি।

পর্দায় নিজের অভিনয় কি সব সময় দেখেন? সত্যি বলতে কি, আমার নিজের নাটক দেখার সুযোগ খুব বেশি থাকে না। অনেক সময় দেখা যায়, আমাকে ফোন করে অনেকেই বলেন, ওই নাটকটা দেখেছি কিনা। তখন ইউটিউব থেকে টেনে তাড়াতাড়ি দেখে ফেলি। কারণ, আমাকে ঘুমাতেও হয়।

নতুন কোনো সিনেমায় আসছেন? আমার কাছে সিনেমায় কাজের প্রস্তাব সব সময়ই আসে। তবে আমি বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় অভিনয় করতে চাই না। আমার পছন্দ আর্টফিল্ম। এখনো ওই ধারার সিনেমার প্রস্তাব আসেনি, এলে অবশ্যই করব। অবশ্য, এরই মধ্যে আমি একটি সিনেমায় অভিনয় করেছি। অঞ্জন আইচের ‘কানামাছি’।

এখন তো আবার ভিউ দেখে অভিনয়শিল্পী নেওয়া হয়- আসলে যুগ যেমন চেঞ্জ হয়, যুগে যুগে মানুষের কাজের প্রেক্ষাপটও চেঞ্জ হয়। কাজের ধরনও চেঞ্জ হয়। এখন যেটা চলছে, এই অসুস্থ জায়গায় থাকতে আমি চাইছি না। ভাইরাল হওয়ার জন্য কিছু করতে চাই না। তবে আমি আশাবাদী, আবার অভিনয়ের সেই ভালো দিনগুলো আসবে।

এই পরিস্থিতির জন্য কারা বেশি দায়ী? আসলে এখন কান টানলে মাথা চলে আসে। এখানে যেমন প্রযোজক, পরিচালক, লেখক, শিল্পী যাই বলেন, কেউই এককভাবে দায়ী না। আসলে চোখ যেদিকে যায়, এই মানুষগুলোও সেদিকে যায়। এখানে দর্শকের চাহিদাও আছে। প্রোডাকশনের চাহিদাও আছে। দর্শক যদি এগুলো না দেখতো, নিশ্চয় কেউ এই কাজ করতেন না। লেখকও লিখতেন না। এ কথা বিটিভির ক্ষেত্রে বলছি না, বেসরকারি চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রেই বলছি।

শিল্পীদের অনেকেই তো এখন উপস্থাপনাও করছে? আসলে আমার উপস্থাপনা করার মতো সাহসটা নেই। এই জায়গাটিতে আমার একটা জড়তা আছে। আমার কথা জড়িয়ে যায়। এই জড়তাগুলো যদি কাটিয়ে উঠতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাকেও উপস্থাপনা করতে দেখতে পাবেন।

সামনে কি ওটিটিতে নিয়মিত হবেন? আমি আসলে অভিনয়শিল্পী। আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভালো কাজ করা। নিজের একটা জায়গা তৈরি করে এতে নিজের নামটি লিখে রাখতে চাই। চাই নিজের একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে। সেটা ওটিটিই হোক বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মেই হোক।

যাযাদি/ এস