টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেন আহসান হাবিব নাসিম। খণ্ড ও ধারাবাহিক- দুই ধরনের নাটকেই তাকে দেখা যায়। পাশাপাশি বড়পর্দায়ও তাকে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। বিভিন্ন সময় তাকে টিভির উপস্থাপনাতেও দেখা গেছে তাকে। ‘চিরন্তনী’, ‘কিছুক্ষণ’ এরকম আলোচিত অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন তিনি। আহসান হাবিব নাসিম ছোটপর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি। এ অভিনেতার চলমান সময়সহ সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন....
নতুন কাজকর্ম কেমন হচ্ছে?
এক সময় অভিনয় শিল্পীদের কাজ থাকত এখন কমে যাচ্ছে কেন?
এখনকার সিনেমা দেখে কেমন মনে হচ্ছে? এখন যেমন দেখা যাচ্ছে তাতে ভালোই মনে হচ্ছে। এখন দর্শকরা যে প্রেক্ষাগৃহে আসতে শুরু করেছে এটা তো ভালো লক্ষণ। এটা অব্যাহত থাকলে তো হল মালিকরাও লাভবান হন, প্রযোজকরা লাভবান হন। আর তারা লাভবান হলে পরিচালকরাও উৎসাহ-উদ্দীপনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারেন। এখন এটা যদি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে তাহলে তো সেটা আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভালো। কিন্তু আমাদের দেশে ছবি হিট হয় পাঁচ-দশ বছর গ্যাপ দিয়ে-দিয়ে। এটা না হয়ে যদি বছরে অন্তত দুতিনটা ছবি হিট হতো তাহলেও প্রতিযোগিতাটি অব্যাহত থাকত।
গত দু’তিন বছরে তো এমনটিই দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দুটো ছবি হিট হওয়া তো খুবই ইতিবাচক। তার মানে ছবি যদি ভালো হয় তাহলে সেটা দর্শককে আকর্ষণ করে। এখন সামনে যে ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে সেগুলোতেও যদি এরকম দর্শককে টানতে সক্ষম হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলা যাবে আমাদের সিনেমা দাঁড়িয়ে গেছে।
তার মানে এখন নির্মাতাদের কাজের মধ্যেও ধারাবাহিকতা আসছে- কী বলেন? আমি অবশ্য এভাবে দেখি না। আমি মনে করি এর মধ্যে একটা ভাগ্যের ব্যাপারও থাকে। কারণ, কখন কোন ছবিটা হিট হবে সেটা আগে থেকে ধারণা করা যায় না। অনেক সময় দেখা যায়, অনেক ভালো ছবিও হিট হয় না। আবার অ্যাভারেজ বা মোটামুটি ভালো ছবিও হিট হয়ে যায়। যেটাই হোক যে ছবি মুক্তি পাচ্ছে সেটা দর্শকের কাছে পৌঁছে যাক। দর্শক যেন আবার প্রেক্ষাগৃহমুখী হয় এ রকম একটা প্রবাহ থাকুক- এটাই আমার প্রত্যাশা।
এজন্য তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। সেটা তো অবশ্যই। এখন অনেক নতুন নির্মাতা আসছে তারা অনেক ট্যালেন্টেডও। এখন তারা সবাই এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলে ভালো হয়। কেননা দর্শকের অভিজ্ঞতাও গেছে আন্তর্জাতিক মানের। সুতরাং এখন কাজগুলোও করতে হবে সেরকম স্টান্ডার্ডের। সে স্টান্ডার্ড মেনে সিনেমা করলে দর্শক অবশ্যই আবার সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহমুখী হবে। প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়বে। তখন সেটা জাতির জন্যও কল্যাণকর হবে।
এখনকার সিনেমাতে কি গ্রাম বিচ্ছিন্ন শহুরে রুচির প্রতিফলন ঘটছে? তাতো বটেই। একটা সময় চলচ্চিত্রের নাম, কাহিনী, গল্প, পোস্টারে যে রকম অশ্লীলতা ও সুরসুরি মূলক ব্যাপার ছিল- দর্শককে শস্তাভাবে টানার যে কৌশল ছিল সেটা ব্যর্থ হয়েছে। এখন যারা সিনেমা বানাতে আসছেন তারা শিক্ষিত এবং রুচিশলী। যে সিনেমা হচ্ছে সেটা তারই প্রতিফলন। নির্মাতাদের রুচির পরিবর্তন হলে দর্শকেরও রুচির পরিবর্তন হবে।
যাযাদি/ এস