দেশের দুই পর্দার সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ধরে রেখেছেন নিজের রূপ, লাবন্য। দিন যতই যাচ্ছে, অভিনেত্রীর বয়সও যেন কমছে। ৪১ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীর একের পর এক খোলামেলা ছবি তাক লাগাচ্ছে ভক্তদেরও।
বর্তমানে রুনার বয়স চল্লিশের কোটায়। এই বয়সে এসে এখনো আবেদনময়ী রুনা খান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তার এই বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে অকপটে গণমাধ্যমে কথা বলতে দেখা গেল রুনা খানকে। এ সময় মজার ছলে প্রসঙ্গ ওঠে, রুনাকে এই বয়সে এখনো কেউ দুষ্টু বার্তা, কিংবা কোনো প্রস্তাব পাঠায় কিনা! খানিকটা হেসে রুনা বললেন, ‘আমারই সমবয়সি অপূর্ব, নিশো। ওরাও তো দেখতে আকর্ষণীয়। ওদের তো এই প্রশ্ন করা হয় না, তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, এরপরও কেন আকর্ষণীয় লাগছে! তো ৪০-৪২ বছর বয়সি অপূর্বকে, শুভকে সুন্দর-আকর্ষণীয় দেখালে ৪০-৪২ বছর বয়সি রুনা খান, বাঁধনদেরও সুন্দর, আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, একই জিনিস।’
রুনা বলেন, ‘আমরা আসলে নারীদের ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন করতে, ভাবতে ভালোবাসি আমরা, এটা আমাদের অভ্যস্ততার ব্যাপার।’ তবে সুযোগ পেলে বয়স আশিতে গিয়েও মডেলিং ও অভিনয়ে যুক্ত থাকবেন বলে আশাবাদী রুনা খান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার কাছে আসলে সৌন্দর্যের প্রতীক আমার মা। এ ছাড়াও শর্মীলা (শর্মীলা আহমেদ) আন্টি, দিলারা জামান, তারা। আমি যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ থাকি তাদের বয়স পর্যন্ত, তাহলে ওনাদের মতো হতে চাই। তারা আশি বছর বয়সে গিয়েও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিংবা আইস টুডের কাভার মডেল হতে পারেন।’
বছর কয়েক ধরে নিজের ওজন কমিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন রুনা খান। ৪১ শে এসেও সমানতালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন রূপের দ্যুতি। আবার কখনো সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরে তাক লাগিয়েও দেন অনুরাগীদের। এ নিয়ে কখনো বিতর্কিতও হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এসব কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন রুনা খান, সাফল্যের মুখ দেখছেন অনায়াসেই।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই, কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট ‘অসময়’-এ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে রুনা মনে করেন, ‘অসময়’ তাকে সুসময় এনে দিয়েছে। এখন ওয়েব কনটেন্টে কাজ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছেন সিনেমাতেও।
যাযাদি/ এসএম