গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় শনিবার (২১ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার কমলাপুর মৎস্য আভয়াশ্রম ও বিভিন্ন খালে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলার কমলাপুর খালের আগারি নামক স্থানে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন মুকসুদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসনিম আক্তার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবলা চক্রবর্তী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ছিরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে একইদিনে উপজেলার বিলরুট ক্যানেল, জলিলপাড়-মুকসুদপুর খালের জলিলপাড় অংশ এবং মহারাজপুর খালের বনগ্রাম এলাকাতেও পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।
এ বছর মোট তিনটি স্থানে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ছোট মাছ যেমন পাবদা, গুলশা, শিং ও টেংরা প্রায় ৩.৫ মণ এবং বড় মাছের মধ্যে রুই, কাতলা ও মৃগেল প্রায় ১১ মণ, সর্বমোট প্রায় ১৫ মণ পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের মৎস্যসম্পদ টিকিয়ে রাখা এবং জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পোনা মাছ অবমুক্তির ফলে ভবিষ্যতে এ সকল জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা একদিকে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে স্থানীয় চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হলে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছগুলোর পুনরুজ্জীবন সম্ভব হবে। এছাড়াও জলাশয়গুলোতে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বাজারে দেশীয় মাছের সরবরাহও বাড়বে, যা ভোক্তাদের জন্যও উপকারী হবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। তারা আশা প্রকাশ করেন, মৎস্য খাতের এমন ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো নিয়মিত হলে স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।