টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পর আজ সোমবার (১২ মে) একটু নেমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ। চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে জনজীবনে।
আজ বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৪১%।
এর আগের দিন রোববার (১১ মে) বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬%। এর আগে দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৩১%।তার আগের দিন শনিবার (১০ মে) বিকেল তিনটায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চারদিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করেছে এ জেলায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল মানুষ।
রোদের প্রখর তেজ আর অসহ্য গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছিলেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
আজ সোমবার তাপমাত্রা একটু কমায় স্বস্তি এসেছে জনজীবনে। তবে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল মানুষের মধ্যে।চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, ১৩ মে পর্যন্ত এ রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে। ১৪ তারিখ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
যাযাদি/এল