রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

টাকা বিলির সময় এমপি একরামের বেয়াইসহ চারজন আটক

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ মে ২০২৪, ২৩:৫০
আপডেট  : ০৭ মে ২০২৪, ২৩:৫৩
ছবি : যায়যায়দিন

উপজেলা পরিষদের ভোটের আগের দিন রাতে নোয়াখালী সুবর্ণচরে ভোটারদের মধ্যে অর্থবিলি করার সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশুরসহ চারজন ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা৷ আতাহার ইশরাক স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে৷ তিনি এবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, চরবাটা কাজল মার্কেট এলাকায় ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে অর্থবিলি করছেন আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশ্বর শাহীন এবং এমপি একরামুলের এপিএস সুনীল বাবু৷ যে গাড়িটিসহ স্থানীয়রা তাদের আটক করে গাড়িটি ঢাকা মেট্রো-ঘ এবং গাড়ি নং ২১-৩২৮৯৷

কাজল মার্কেট থেকে তারা গাড়ি চালিয়ে সেন্টার বাজারে পৌঁছালে অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকরা গাড়িটি আবার আটকায়৷ এ সময়ে ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করেন এক ব্যক্তি৷

পরে এমপি একরামুলের অনুসারিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের উপর হামলা করে আটককৃতদের উদ্ধার করে৷

এ সময়ে আতাহার ইসরাকের সমর্থক এবং খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে৷ এ ঘটনায় খায়রুল আনম সেলিমের তিন সমর্থক আহত হয়৷ পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি এবং পুলিশ মতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়৷

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এএইচ খায়রুল আনম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যে রাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে টাকা বিলি করার সময়ে স্থানীয়রা আমার প্রতিপক্ষপ্রার্থীর শ্বশুর সহ কয়েকজনকে আটক করে৷ তারা কেউ এ এলাকার ভোটারও না৷ বহিরাগতরা আমার নির্বাচনী এলাকায় এসে টাকা বিলি করে ভোট কিনতে চাচ্ছে৷

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, 'স্থানীয়রা একটি গাড়ি আটক করলে সেখানে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ এবং বিজিবি পরিস্থিতি শান্ত করে৷ এরপর ঘটনাস্থল থেকে একজন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে৷"

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে