বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
আয়োজনে ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জ

হাজার লিটার শরবতে তৃষ্ণা নিবারণ

শিহাব উদ্দিন
  ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফখরুল আশরাফ ( বাঁ থেকে চতুর্থ) শরবত তুলে দিচ্ছেন

চলমান দাবদাহে অতিষ্ঠ সারাদেশের মানুষ। তীব্র গরমে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতেও জীবনের তাগিদে শ্রমজীবী মানুষকে কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। গরমের সঙ্গে লড়াই করলেও নানা ধকল যাচ্ছে তাদের শরীরের ওপর দিয়ে। এসব শ্রমজীবী মানুষের কথা বিবেচনা করে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জের বন্ধুরা। মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল দিনব্যাপী পথচারী ও শ্রমজীবীদের তৃষ্ণা মেটাতে কেরানীগঞ্জের কদমতলি, কোনাখোলা মোড় ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ এলাকায় ১ হাজার লিটারের বেশি লেবুর শরবত দিয়ে মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ করানো হয়। ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম রানা খান বলেন, তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও শ্রমজীবীরা। জীবন জীবিকার তাগিদে তীব্র দাবদাহে বাইরে আসতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষকে। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ঠান্ডা শরবত বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুরা। এর আগে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা ও কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন আইয়ুবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ও কেরানীগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা ফখরুল আশরাফ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনসুর আহমেদ, প্রথম আলো বন্ধুসভার কেরানীগঞ্জের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন রতন, ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম ও মাসুম পারভেজ, ফ্রেন্ডস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন মিনহাজ, শামসুর রহমান তুষার, সদস্য আল আমিন শাহাদাৎ, মৃদুল রাজবংশী প্রমুখ।

এমন কার্যক্রমে ফ্রেন্ডস ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী। তিনি বলেন, এই গরমে মানুষের বেশি বেশি তৃষ্ণা পায়। এছাড়া দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে হাঁপিয়ে যান। অন্তত এখান থেকে এক গস্নাস ঠান্ডা শরবত পান করে সাধারণ মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে পারবেন এবং একটু স্বস্তি পাবেন।

ফ্রেন্ডস ফোরাম আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ বলেন, প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া শ্রমিক ও সাধারণ পথচারীদের একটু স্বস্তি দিতে বিনামূল্যে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করা হয়। শরবত খেয়ে রিকশাচালক মো. মনিরুল বলেন, 'লেবুর শরবত কিনে খেতে ১০ টাকা লাগে। ঠান্ডা পানি কেমনে পাবো আমরা। কষ্ট করি গরম পানি খেয়ে রিকশা চালাই। বাবুবাজার সেতুর কেরানীগঞ্জ প্রান্তের কদমতলি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একজন বলল, ফ্রি শরবত খাওয়াচ্ছে, তাই আসলাম। শরবত খেয়ে এখন জানটা ঠান্ডা হয়েছে। যারা খাওয়াইছে, আলস্নাহ তাদের ভালো করুক।'

যুগ্ম সদস্য সচিব

ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে