রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের আওতায় ঘুমের অধিকার

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

অনেকেই আছেন ঘুমাতে খুবই ভালোবাসেন। কুম্ভকর্ণের মতো না হলেও ঘুমিয়ে রাত দিন পার করে দেন। ঘুম শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যতটা প্রয়োজন তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারও করে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।

তবে আপনার এই সাধের ঘুমে যদি কেউ ব্যাঘাত করতে আসে তাহলে কিন্তু তার নামে মামলা করে দিতে পারবেন। নাহ, আমাদের দেশে এই আইন না থাকলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে আছে এমনই এক আইন। সেখানে মানুষের ঘুমের অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

ভারতে এটি একটি মৌলিক অধিকার। দেশটির সংবিধানের ২১নং অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই শান্তিতে ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। অনুচ্ছেদ ২১-এর 'জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার'-এর অধীনে ঘুমের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ অনুসারে 'আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন বা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হবে না।'

২০১২ সালে দিলিস্নতে বাবা রামদেবের সমাবেশে ঘুমন্ত জনতার ভিড়ের ওপর পুলিশি পদক্ষেপের একটি মামলার শুনানি করার সময় সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন যে, পুলিশদের এই পদক্ষেপ মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনের শামিল।

ঘুমকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে উলেস্নখ করার সময় সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছেন, 'একজন মানুষের জন্য তার অস্তিত্ব এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যের সূক্ষ্ণ ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ঘুম অপরিহার্য। তাই ঘুম একটি মৌলিক এবং মৌলিক প্রয়োজন- যা ছাড়া জীবনের অস্তিত্বই বিপদে পড়বে।'

বিচারপতি চৌহান বলেন, একজন মানুষের জন্য ঘুম একটি মৌলিক প্রয়োজন, বিলাসিতা নয়। যদি এই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, মন বিভ্রান্ত হয় এবং এটি স্বাস্থ্য চক্রকে ব্যাহত করে। এক ব্যক্তির স্বাভাবিক ঘুমে ব্যাঘাত হলে তা থেকে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন মানসিক ভারসাম্যহীনতা, বদহজম এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে