বগুড়ার শাজাহানপুরে রোদের তাপে থেমে গেছে জনজীবন। সস্তির নিঃশাস ফেলতে পারছেনা এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষ। পথে ঘাটে কেউ পড়ছেন অজ্ঞান হয়ে।
কেউবা হীটষ্ট্রোকে মৃত্যুবরণও করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। কোথাও মিলছেনা এতটুকু শীতল বাতাস। ফলে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির হচ্ছেনা কেউ। আবার বিশেষ প্রয়োজনে যদিও কেউ ঘরের বাহির হন, অসহনীয় তাপদাহে অনেকেই পথে ঘাটেই অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন।
উপজেলার বড়পাথার গ্রামের জানুপাড়ায় আবদুস সাত্তারের স্ত্রী মন্জুরী বেগম (৪০) গত ২২ এপ্রিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাতের চিকিৎসা নিতে গেলে লাইনে দাড়ানো অবস্থায় অসহনীয় গরমে হীটষ্ট্রোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষন পরেই তার নিথর দেহ মাটিতে লুটে পরে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। উপজেলার মাঝিড়া বাসষ্ট্যন্ডে বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা একব্যক্তি সুর্যের অতিতাপে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হয়।
এছাড়াও কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহে উপজেলার আশেকপুর ও মাদলা বন্দরে হীটষ্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। প্রচন্ড এই গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকে ডাব, শরবতের পানি খাচ্ছেন। তবুও সস্তি মিলছেনা কিছুতেই।
তারা জানান, দেশে অসহনীয় শীতে অনেকেই সাহায়্যের হাত বাড়ালেও তীব্র তাপদাহের প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে তাদের পাশে কেউ দাড়ায়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন হত দরিদ্ররা।
যাযাদি/ এস